‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।’ অভিষেককে ইডি তলব করার পর এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওইদিনই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ইডি দফতরে। অভিষেক নিজে টুইট করে জানিয়েছেন সে কথা। এই তলব প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমার পরিবারকে বারবার নিশানা করা হচ্ছে। তাঁর মতে কারও সঙ্গে রাজনৈতিক মত পার্থক্য আছে বলেই তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা যায় না।
এরই রেশ টেনে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘তোমার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মত মিলতে নাও পারে। গণতন্ত্রে এটা হয়েই থাকে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তার জন্য বারবার হেনস্থা করা হবে।’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমনটা করা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, আজ একজন ক্ষমতায় আছেন বলে এই কাজ করছেন, পরবর্তীতে অন্য একজন ক্ষমতায় এলে তিনিও এই কাজ করবেন, এভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না।’
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর এদিন এও বলেন, ‘অভিষেককে তলব করে আসলে যুবশক্তিকে চাপে রাখতে চাইছে কেন্দ্র, কারণ তারা জানে যে যুবশক্তিকে দমিয়ে রাখা যায় না।’
এই প্রসঙ্গে উঠে আসে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গও। মমতা বলেন, ‘আমার বিষয়টা পছন্দ হয়নি। কোনও প্রমাণ থাকলে তদন্ত হোক, কিন্তু এভাবে পদক্ষেপ করা যায় না।’
এখানে বলে রাখা শ্রেয় ইডির তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে আগেও। কয়লা পাচার মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল সাংসদের। সম্প্রতি তাঁর নাম জড়িয়ে গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তবে প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় যাননি তিনি।
তবে এই প্রসঙ্গে অভিষেককে তলব করার প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘একজন সন্দেহভাজন অভিযুক্তকে এজেন্সি কখন ডাকবে, সেটা এজেন্সির ব্যাপার। তারা তো জিজ্ঞেস করে ডাকবে না।‘ অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ওর কাজে ক্ষতি করতে চায়, সে জন্যই বেছে বেছে বৈঠকের দিনেই তলব করা হয়েছে।’