মনোনয়ন জমা পড়ার পর বিরোধীরা এখন আতঙ্কে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ নিয়ে। অভিযোগ অবশ্যাই খোদ শাসক দলের দিকেই। ঠিক এমনই এক ছবি ধরা পড়ল রাজারহাটের বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের ক্ষেত্রে। অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিসে খোদ কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে হুমকিও দেওয়া হয়েছে স্ত্রী মনোনয়ন না তুললে মেরে ফেলা হবে তাঁকে। এরপর কোনও রকমে ছাড়া পেয়ে থানায় যান তিনি। ঘটনা সবিস্তারে জানানোর পর তাঁকে মঙ্গলবার সকালে ফের তাঁকে থানায় আসতে বলা হয়েছে, বলেও জানান বাবলু। প্রসঙ্গত, তাঁর স্ত্রী শান্তা মণ্ডল চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৭ নম্বর আসনের প্রার্থী। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এদিকে রাজারহাট-নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, এমন কোনও ঘটনা বা অভিযোগের কথা তাঁর জানা নেই। প্রয়োজনে তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
এদিকে বিজেপি প্রার্থীর স্বামী বাবলু মণ্ডল জানান, তাঁকে কৈখালির কাছে এক পার্টি অফিসে আটকে রাখা হয়।সঙ্গে এও জানান, ছলে বলে তাঁকে সোমবার নিয়ে যাওয়া হয় কৈখালিতে। এরপর ফোন করে তাঁকে বলা হয় কৈখালির মসজিদের সামনে দাঁড়াতে। এরপর সেখান থেকে অফিসে নিয়ে গিয়েই শুরু হয় মারধর। রীতিমতো জেলের আসামীদের মতো শুইয়ে ফেলে চলে বেদম প্রহার। সেই সময় ওই পার্টি অফিসে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট বড়ুয়া। তবে ১০ মিনিট থেকে চলে যান।সঙ্গে হুমকি, , ‘স্ত্রীকে মনোনয়ন তুলতে বল, নাহলে এখনই মেরে ফেলব। এরপর পাশের কবরস্থানে ফেলে দেব।’ ফলে আতঙ্কে বিরোধী শিবিরের অনেকেই। শাসক দলের চোখরাঙানিতে মনোনয়ন সত্যিই প্রত্যাহার করেন কি না তাঁর স্ত্রী এখন সেটাই দেখার। তবে ভরসা দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। এটাই তাঁদের কাছে একমাত্র আশার আলো।