জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম

সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম-এর ভূমিকা। আবার মুখ পুড়ল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বুধবার জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসায় এসএসকেএমের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল আদালতকে। এদিন জ্য়োতিপ্রিয়র কিডনির একটি বিশেষ পরীক্ষা সংক্রান্ত শুনানি ছিল আদালতে। সূত্রের খবর, তখনই আদালতে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথোপকথনের মধ্যেই এসএএসকেএমের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিশেষ ইডি আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়। শেষ অর্ডারে তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুয়ায়ী কী কী করতে হবে তা স্পষ্ট বলেছিলেন বিচারক। কিন্তু, তারপরেও তাঁর বেশ কিছু অতরিক্ত টেস্ট করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিচারক।

আর এই প্রসঙ্গেই বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, ‘সামথিং ইজ নট ফেয়ার। আমার মনে হয় এসএসকেএম একটু বেশিই করছে।’ এরই রেশ ধরে বিচারক এও জানান, ‘আমার অর্ডারে স্পষ্ট বলা ছিল কী কী টেস্ট করাতে হবে। কিন্তু একটু বেশিই করে ফেলছে।’ একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেহেতু একজন প্রভাবশালী, মন্ত্রী ছিলেন, সে কারণে সরকারি আধিকারিকেরা তাঁকে চিনতে পারেন।’ এই প্রসঙ্গেই বালুর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় জানতে চান, ‘আপনি কী মনে করছেন এ ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হচ্ছে?’ উত্তরে বিচারক জানান, ‘হ্যাঁ মনে হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কিডনির একটি বিশেষ পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল এদিন। সেখানেই আদলতের প্রশ্নে যে এসএসকেএমের উপর চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞ থেকে প্রশাসনিক কর্তারাও। এর আগে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার আবেদনের সময়ও কার্যত একই ধরনের মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বিচারককে। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, যেটা প্রয়োজন নেই সেটা করা হচ্ছে।

বুধবার আদালতের এমন মন্তব্যের পরই চাপানউতোর শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শাসক দলকে বিদ্ধ করে বলেন, ‘সমস্ত দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ড। সাম্প্রতিককালে মুখ্যমন্ত্রীর চোট লাগার ঘটনায় মণিময়বাবুর বিবৃতি নিয়ে যত কম আলোচনা করা যায় ততই ভাল। প্রশ্ন তো উঠেই ছিল। আর নতুন করে কী উঠবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − three =