২১ জুলাই নাকি কিছু একটা চমক দেবেন দিলীপ ঘোষ, গত বেশ কয়েকদিন ধরে এমনই জল্পনা চলছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। কেউ কেউ আবার কিছুটা বেড়ে খেলে দাবি করে বসেছিলেন, হয়তো ‘ফুল বদল’ করতে পারেন বঙ্গ বিজেপির এই নেতা। এদিকে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুর্গাপুরের সভায় তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। ফলে সেই জল্পনা আরও বড় আকার ধারণ করে।
এদিকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ডাকে শুক্রবার সকালেই দিলীপ ঘোষ চলে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। এরপর সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার দিল্লি থেকে ফিরে যা জানালেন তাতে বিশেষ চমকের কোনও মশলা মজুত নেই। অবশ্য ২১ জুলাইয়ে আদতে তিনি কী ‘চমক’ দিতে চলেছেন, তা এদিন অবশ্য স্পষ্ট করেন দিলীপ।
শনিবার দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন এই বিজেপি নেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘২১ তারিখ খড়্গপুরে একটি বড় সভা করার কথা রয়েছে। বাংলায় যে সব বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি সভা হবে। ওই দিনে খড়্গপুরে থাকব।’ অর্থাৎ তৃণমূলের আয়োজিত শহিদ দিবসের দিনে তাঁর দলবদলের জল্পনায় একেবারে জল ঢাললেন দিলীপ ঘোষ। তবে তিনি ২১ শে তিনি কোনও এক মঞ্চে থাকবেন তা আগেই বলেছিলেন। সেই মঞ্চের কথাই আদতে জানা গেল এদিন।
প্রধানমন্ত্রীর সভার আগেই দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে তলব নিয়েও একাধিক জল্পনা ছড়িয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, ‘ডাকাবুকো’ দিলীপের বাক্যবাণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বার্তা দিতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কী কথা হলো সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংগঠনের বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। ভালো ভাবে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সর্বভারতীয় সভাপতি যখন ডেকেছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিতি নিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘মনে হয়েছিল, আমি যদি যাই সেক্ষেত্রে আমাকে কোথায় রাখা হবে তা ঠিক করতে পারছেন না। শেষে আমি ঠিক করেছিলাম যে যাব না। শেষে সর্বভারতীয় সভাপতি ডেকেছিলেন এবং তাঁর ডাকে আমি দিল্লি চলে গিয়েছিলাম।’