ব্যাংকে সেভিংস আকাউন্টে এফডি -র পরিষেবা নিতে শুরু করুন অটো সুইপ পরিষেবা

ব্যাঙ্ক ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় মা রাখেন, তাহলে জরিমানা করা হয়। আবার এই পদ্ধতিতে আপনি ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক আয়ও করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে ব্যাঙ্কের অটো সুইপ পরিষেবা ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে, আপনি আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে ফিক্সড ডিপোজিটের সমান হারে সুদ পেতে শুরু করবেন।

আসলে, প্রতিটি ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের অটো সুইপ পরিষেবা প্রদান করে। এই পরিষেবাটি পেতে, আপনাকে ব্যাঙ্কে যেতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্টে অটো সুইপ পরিষেবা সক্রিয় করতে হবে। যার মাধ্যমে, আপনি আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকার উপর এফডি-এর মতো সুদ পাবেন।

তবে তার আগে এই অটো সুইপ পরিষেবা কী তা আগে জানা দরকার।
অটো সুইপ পরিষেবা এমন একটি সুবিধা যার অধীনে যখন আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা থাকে, তখন সেই পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিক্সড ডিপোজিটে স্থানান্তরিত হয়। এর অর্থ হল, আপনি আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখেন এবং যখন সেই পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন সেই পরিমাণ অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী আমানতে পরিণত হবে। যার উপর আপনি আরও সুদ পাবেন। এই পরিস্থিতিতে, আপনি সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত সুদের পরিবর্তে ব্যাঙ্ক এফডি-র সুদের হারের সুবিধা পাবেন। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় পরিষেবা যা অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ একটি সীমা অতিক্রম করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী আমানতে পরিবর্তিত হয় এবং গ্রাহক সুদ পেতে শুরু করেন।

অটো সুইপ সুবিধার সুবিধা:
স্থিতিশীল আমানতের সুদ সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের তুলনায় অনেক বেশি। আপনি আপনার অর্থের উপর বেশি রিটার্ন অর্জন করতে পারেন। স্থায়ী আমানত করার জন্য আপনাকে প্রতিবার ব্যাঙ্কে যেতে হবে না। এই কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। আপনি আপনার স্থায়ী আমানত ভেঙে যেকোনও সময় টাকা তুলতে পারেন। আপনি যদি বিনিয়োগ করতে চান কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা বুঝতে না পারেন, তাহলে অটো সুইপ সুবিধা আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

এফডি-র বিকল্প কী কী?

১) পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)

এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করলে মিলবে ৭.১ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন। পিপিএফ-এর রিটার্ন কিছু ক্ষেত্রে এফডি-র থেকেও ভাল মনে হতেই পারে।

তবে এফ-র মতো পিপিএফ-এর টাকা চট করে ভাঙানো যায় না। ১৫ বছর অন্তত রাখলে ভাল ফল পাবন। এই স্কিমে লক-ইন পিরিয়ড থাকে। নির্দিষ্ট শর্তে ছয় বছর থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিকল্প পাবন। ফলে চাকরিজীবীরা, যাঁরা অবসরের কথা ভেবে টাকা জমাবেন, তাঁদের জন্য়ই এটি ভাল বলা যেতে পারে।

২) সোভারিন গোল্ড বন্ড (SGB)

SGB-তে ২.৫০ শতাংশ বার্ষিক সুদ পাবেন অর্ধ-বার্ষিকভাবে প্রযোজ্য। সুদের পাশাপাশি, গোল্ড বন্ডের রিটার্ন সোনার দামের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে যখন সোনার দাম বৃদ্ধি পায়, তখন আপনার বিনিয়োগের উপর রিটার্নও বাড়ে।

পিপিএফ-এর মতোই এসজিবি-ও কিন্তু চট করে ভাঙানো যায় না। আট বছরের লক-ইন পিরিয়ড আছে। পাঁচ বছর পর থেকেই শুধুমাত্র আগেভাগে টাকা তুলতে পারবেন।

৩) ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC)

পোস্ট অফিসের মাধ্যমে NSC-তে বিনিয়োগ করতে পারেন। ৭.৭ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাবেন। এফডি-র থেকে এনসিএস-র রিটার্ন ভাল। কিন্তু খারাপ দিক হল যে, এতে পাঁচ বছরের লক-ইন পিরিয়ড আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =