মুচিপাড়ায় বৃদ্ধা খুনে মগরাহাট থেকে গ্রেপ্তার ১

মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া থানায় এলাকায় বাড়িতেই খুন হন একাকী বৃদ্ধা। এই খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার ভোররাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানা এলাকায় বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম ময়মুর আলি গাজি। পুলিশের অনুমান, গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।  লুটের উদ্দেশ্যে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা। বৃদ্ধার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রীও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে চারটি সোনার বালা, দুটো আংটি, একটা সোনার লকেট ও রুপোর গয়না যা লুঠ করা হয়েছিল। ধৃতের পোশাক, ছাতা ও একটি ব্যাগও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দিন তিনেক আগে মুচিপাড়া থানা এলাকায় বাড়ি থেকে নমিতা পাল নামে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। মুচিপাড়ার সার্পেনটাইন লেনে বাড়িতে একাই থাকতেন বৃদ্ধা। স্থানীয়রা জানান, ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে মারা গিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার বাসিন্দারা জানালা দিয়ে দেখতে পান, গলায় কাপড় জড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন নমিতা পাল। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর সজল ঘোষও। তবে বাইরে থেকে বাড়ির দরজা ছিল বন্ধ। এরপর উপায় না পেয়ে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে পুলিশ। এদিকে ঘরে ঢুকে দেখা যায় আলমারি খোলা। পাশাপাশি এও নজরে আসে ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকেরা। তাঁরা অনুমান করেন, বছর ছিয়াত্তরের ওই বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর লুঠপাট চালানো হয়। আততায়ী বাইরে থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট উদ্ধার করা হয়। তারপর শনিবার ময়মুর আলি গাজির বাড়িতে তারা পৌঁছে যায়। তল্লাশি চালিয়ে ধৃতের বাড়ি থেকে চারটি সোনার চুড়ি, দুটি সোনার আংটি, একটা সোনার লকেট এবং কিছু রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। তল্লাশি শেষে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় বছর তিপান্নর ময়মুরকে। পুলিশ সূত্রে খব, ধৃতের ওই এলাকায় যাতায়াত ছিল। বৃদ্ধা একা থাকতেন জানতো সে। তারই সুযোগ নিয়েছিল। স্থানীয় দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্তকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − seven =