যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমে ১০ ছাত্রকে ডাকা হয়েছিল যাদবপুর থানায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল ডেপুটি কমিশনারের। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ডাক পাওয়ার পরও একজন ছাত্রও উপস্থিত হননি। যাঁদের তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছিল, কেন তাঁরা এলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের ধারা রুজু করেছে পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে কলকাতা পুলিশ। শীর্ষ কর্তাদের ইঙ্গিত পর্যাপ্ত সহযোগিতা মিলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।
এদিকে সূত্রে এও জানা যাচ্ছে যে, কলকাতা পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে হস্টেল সুপারের ভূমিকাও। এক ছাত্র রাত ১০টার সময়ে ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে ফোন করেন। ওই ছাত্র জানিয়েছিলেন, যে হস্টেলে কিছু গুরুতর সমস্যা হচ্ছে। ‘ডিন অব স্টুডেন্টস’ ফোন পাওয়ার পর হস্টেল সুপারকে ফোন করে দ্রুত যেতেও বলেছিলেন। এমনকি যে ছাত্র ফোন করেছিলেন, তাঁর ফোন নম্বরও দেওয়া হয় হোস্টেল সুপারকে। তবে হোস্টেল সুপার কিছু সময় পরে ‘ডিন অব স্টুডেন্ট’কে জানান যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। এই ঘটনাতেই প্রশ্নের মুখে হোস্টেল সুপারের ভূমিকা। কীসের ভিত্তিতে হস্টেল সুপার সমস্যা নেই বলে জানালেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে এদিনের ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে এর পরেও ‘ডিন অব স্টুডেন্টস’কে কয়েকজন ফোন করেছিলেন। কিন্তু ডিন সেই ফোন তোলেননি। সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।