পাক চর  ১১ জন গ্রেফতার ভারতে , অপেক্ষা শাস্তির 

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এর পরবর্তীতে পাকিস্তানের যে হামলা চালায় তাও একের পর এক আকাশেই ভেস্তে দিয়েছে ভারত। অপরেশন সিঁদুরের দাপটে পাকিস্তান এখন কোণঠাসা। অপারেশন সিঁদুরে পাক হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি দেশে একাধিক পাক চরেদের ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে। চলছে ধরপাকড়ও। এখনওপর্য়ন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ট্রাভেল ব্লগার জ্যোতি মালহোত্রা। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগ রয়েছে জ্যোতির বিরুদ্ধে।
গত ১৬ মে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে সরবারহ করেছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, দিল্লিতে পাক দূতাবাসের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এর পাশাপাশি পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশেও একাধিক চর নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এরা ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে সরবারহ করেছে বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, চরবৃত্তি দেশের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে পড়ে। ওই আইন ভঙ্গ করলে তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন জেল হতে পারে। এই আইন দেশের জনগণ ও চাকরিজীবীর জন্য প্রযোজ্য। এই আইনের আওতায় অফিসের কোনও গোপন নথি,পাসওয়ার্ড, স্কেচ বাইরে বের করে দেওয়া বেআইনি।
এদিকে সূত্রে খবর, পাকিস্তানের চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের রামপুরের  ব্যবসায়ী শাহজাদ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে যে তথ্য মিলেছে তাতে সে একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছে বলেও জানা গেছে। এর পাশাপাশি গাজালা নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় সে পাকিস্তানে হাতে তুলে দিয়েছে। এ ব্য়াপারে দিল্লিতে পাক দূতাবাসের কর্মী দানিশের কাছ থেকে সে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে বলেও খবর। ফালাকশের মাসি ও সুরজ মাসি নামে পঞ্জাব থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয় এই একই ঘটনায়। তাদের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের য়োগাযোগ ছিল। সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিংকে গ্রেফতার করা হয় গুরুদাসপুর থেকে। হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয় নোমান ইলাহি নামে একজনকে। হরিয়ানার কৈথল থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবন্দর সিংকে। ইয়ামিন মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয় পঞ্জাব থেকে।  হরিয়ানার নুহ থেকে গ্রেফতার করা হয় আরমানকে। নুহ থেকেই গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ তারিফকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + one =