বৃহস্পতিবার ছট পুজো। তার আগেই সারা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নদী ঘাট ও জলশায়ে ছট পুজোর জন্য বরাদ্দ স্থানগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভাগুলিকে নির্দেশ পাঠাল নবান্ন। সূত্রে খবর, ছট পুজোকে সামনে রেখে রাজ্য পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে পুরসভাগুলিকে ১১ দফা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে নদীর ঘাট–সহ যেসব জলাশয়ে ছট পুজো হয় সেখানে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে জঞ্জাল সাফাই করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলতে হবে। আর তারই জন্য জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীদের নিয়ে দল তৈরি করে সাফাই অভিযানে নামার কথা বলেছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর।সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, প্রতিটি নদীর ঘাট ও জলাশয়ের সামনে বড় বড় মাপের ডাস্টবিন বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভক্তরা পুজোর উপাচার জলে ফেলার পরই তা তুলে যাতে ওখানে রাখা হয়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা৷
এই প্রসঙ্গে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছট পুজোর পুণ্যার্থীদের সচেতন করতে হবে, যাতে তাঁরা পুজোর পর নদী বা জলাশয়ের জল নোংরা না করে এই বিনে ফেলে দেন। এর পাশাপাশি এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি নদী–ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মহিলাদের পোশাক বদলের জন্য নিরাপদ ঘেরা ঘরের ব্যবস্থাও করতে হবে।
স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঘাট চত্বরে আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে সূত্রে খবর, পুরসভাগুলোর পক্ষ থেকেও ছট পুজো উপলক্ষে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। তাঁদের পুরসভা থেকে সচিত্র পরিচয় পত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই পাশাপাশি ছট পুজোর দিনও ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘাট চত্বরকে পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য উপযুক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। এই সব ব্যবস্থা সঠিক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বুধবারের মধ্যেই পুরসভার কমিশনার বা এক্সিকিউটিভ অফিসারদের রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
এরই পাশাপাশি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর প্রতিটি পুরসভাকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কন্ট্রোলরুম চালু রাখতে বলেছে। যে সব ঘাটে ছট পুজো হবে সেখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে শৌচালয়ের ব্যবস্থা যেন থাকে, সেই দিকে নজর দেওয়ার কথাও রয়েছে নির্দেশিকাতে।কেবল শৌচালয় থাকাই নয়, নিয়ম করে যেন তা পরিস্কার করা হয়, তার দিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। এইজন্য জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীদের তৎপর থাকার নির্দেশও রয়েছে।
এছাড়াও এই নির্দেশিকায় বাড়তি নিরাপত্তা রাখারও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, জলে নামলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই কোনও রকম অপ্রীতিকর ব্যবস্থা এড়ানোর জন্য ব্যারিকেড লাগানোর কথাও জানানো হয়েছে।