১৮ তম লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা

১৮তম লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৪-এ। বেশ কয়েক মাস দেরি। তবে এই নির্বাচনী যুদ্ধের দামামা যেন এখন থেকেই বেজে উঠল। ইতিমেধ্যেই মোদি সরকারকে উৎখাত করতে ২৬টি অ-বিজেপি রাজনৈতিক দল জোট তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে Iইন্ডিয়া। এবার লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া লড়াই দেখবে ভারতবাসী। তবে কবে হবে এই লোকসভা নির্বাচন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে সাধারণত লোকসভা নির্বাচন এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যেই দেশে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ঘোষণা হয়নি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্ধারিত সময়ই লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মাসখানেক আগেই জানান,এগিয়ে আসবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগে বড় ইঙ্গিত দিয়েছিলেনযে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোনও মিরাকল ঘটে যেতে পারে। কোনও যাদুবলে পড়ে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কলকাতায় এসে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করেন মাত্র কয়েকমাস আগেই। সে সময় নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আর তো ৬ মাসের ব্যাপার। আর যদি মিরাকল কিছু ঘটে যায়,তাহলে আগেও চলে যেতে পারে। কে বলতে পারে।’
এদিকে সংসদের বাদল অধিবেশন প্রথম দিন থেকেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদর বিবৃতি দাবি করে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিরোধী সাংসদরা। এরপরই লোকসভা বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সেই প্রস্তাবের উপর আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে ভোটাভুটিও রয়েছে। ফলে নানাভাবে সাঁড়াশি আক্রমণে রয়েছে বিরোধীরা। এদিকে, প্রস্তাবের বিপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বুধবারই লোকসভায় দাবি করেছেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে জেলযাত্রার সাজার উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরই সংসদে ঘরওয়াপসি হয়েছে রাহুল গান্ধির। প্রত্যাবর্তনের পর বুধবার প্রথম লোকসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল। ঝাঁঝালো বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রের মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। মণিপুর ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 2 =