জীবনতলা থেকে উদ্ধার ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ, ধৃত ৪

বড় সাফল্য বেঙ্গল এসটিএফ-এর। জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ। লাগতার অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার করে এসটিএফ। কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য এসটিএফের তরফ থেকে।

একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করে বেঙ্গল এসটিএফ। এলাকায় মাছের করবার করে অভিযুক্ত। ধৃতের নাম রশিদ মোল্লা। তাঁকে জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর উজিরের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসটিএফ সূত্রে খবর, এলাকায় মাছের কারবার করে অভিযুক্ত। মূলত ফিশারিকেো মাছ চাষ তার জীবিকা। বস্তুত, ধৃতের ছেলেও এর আগে ভাঙড় এলাকা থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে।

রশিদের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বছর একাত্তরের বাসিন্দা হাজি রশিদ মোল্লা, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্তকে। এদের মধ্যে আবার জয়ন্ত কলকাতার বুকে অস্ত্র বিপণন দোকানের কর্মচারি। প্রাথমিক অনুমান, প্রত্যেকটি লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকানের জন্য বরাদ্দকৃত বুলেট থাকে। বছরে পরীক্ষা করার জন্য কিছু বুলেট বরাদ্দ করা হয়। সেই বরাদ্দ বুলেটেরই একটা বড় অংশ চোরা পথে এই অস্ত্র পাচারকারীদের হাতে পৌঁছয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছ এসটিএফ।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, তবে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক অভিনব ডায়মন্ডহারবার মডেলের কথা উল্লেখ করে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ড বজবজ-ডায়মন্ডহারবার মডেল।’ এর পাশাপাশি তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এও লেখেন, ‘বজবজ ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা। দেশি বোমা তৈরির জন্য় কুখ্যাত। সেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গুলির লড়াইয়ের জেরে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির জেরে। সেখ লুৎফর হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বজবজ পুরসভার তাঁর সঙ্গে উত্তর রায়পুর পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর ঝামেলা। কিছুদিন ধরেই দুই নেতার মধ্য়ে ঝামেলা হচ্ছিল, একটি নির্মীয়মান গোডাউনে কে ইমারতী সামগ্রী সরবরাহ করবে তা নিয়েই মূল ঝামেলা। তার জেরেই এলাকা কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়। একেবারে প্রকাশ্য়ে গুলি চলে। দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে বোমাবাজি। এটাই আসলে সত্যিকারের তৃণমূল। প্রতি নেতাই এখন চাইছেন দুর্নীতির প্রসাদ যদি পাওয়া যায়। ভোটের সময় তারা বিরোধী দলের উপর গুলি চালায়। আর বছরের অন্য় সময় তারা নিজের দলে হাত থেকে বাঁচতে তারা এই গুলি বন্দুক ব্যবহার করে। পশ্চিমবঙ্গে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের শিল্পের পাশাপাশি এই দেশি বোমা তৈরির শিল্প বাংলায় অত্যন্ত প্রচলিত। তৃণমূলের এই ব্যবসাতে একচ্ছত্র রয়েছে। তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে যেখানে সোনার ভান্ডারের জন্য একের বেশি নেতার নজর রয়েছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + twenty =