মূল্যবান সম্পদ রাখতে ব্যাঙ্কের লকারকেই বাড়ির থেকে বেশি নিরাপদ মনে করেন সাধারণ মানুষ। অনেক সময় চেষ্টা করেও ব্যাঙ্কে লকার পাওয়া যায় না। আবার লকার ভাড়া বাবদ প্রতি বছর মোটা টাকায় আদায় করে ব্যাঙ্ক৷ তারপরেও ব্যাঙ্কের লকার সত্যি কতটা নিরাপদ, তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল৷ কারণ লকার থেকে গ্রাহকের সোনা এবং হিরের গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কেরই মহিলা কর্মচারি৷ পার্ক স্ট্রিটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা কর্মচারি্র পাশাপাশি চুরির ঘটনায় জড়িত থাকায় তাঁর দাদাকেও গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১.২৫ কোটি মূল্যের সোনা ও হিরের গয়না। বাজেয়াপ্ত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নগদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, বিলাসবহুল গাড়িও। আদালতে পেশ করা হবে ধৃতদের। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে প্রচুর গ্রাহক সোনা ও হিরের গয়না রেখেছিলেন। লকারের দায়িত্বে ছিলেন মৌমিতা শী নামে বছর তিরিশের এক তরুণী। তিনি কসবার বাসিন্দা। শশী পাসরি নামে এক গ্রাহক নিজের গয়না আনতে গিয়ে তা না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান। তা লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে যায় তদন্তের জন্য। তদন্তে নেমে মৌমিতার উপরই সন্দেহ গিয়ে পড়ে গোয়েন্দাদের। দিনকয়েক তাঁর উপর নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত!
গোয়েন্দাদের দাবি, কসবার বাসিন্দা মৌমিতা ও তাঁর দাদা মিঠুন শী মিলে লকারের গয়না সরিয়ে তা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি, দামি মোবাইল, আই ফোন, ল্যাপটপ, গয়না কিনেছেন। হাতে রেখেছেন বহু নগদ অর্থ। মৌমিতা ও মিঠুনকে কসবা এবং লেকটাউন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। চুরির পাশাপাশি গ্রাহকদের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে মৌমিতা-মিঠুনের বিরুদ্ধে।