শনিবার দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছিল, রবিবার ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি বাতিল করা হয়েছে। তারপরের নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে এক হয়েছেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা। কিন্তু সেখানেও হয় লাঠিচার্জ, ধরপাকড়। এবার পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়, দুই প্রধানের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে অস্ত্র-বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষা হয়েছিল। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-জমায়েতে অস্ত্র-বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষেছিল কিছু দুষ্কৃতি। উদ্দেশ্য, সমর্থকদের বদনাম করা। গোপন সূত্রে এ বিষয়ে কিছু অডিয়ো-রেকর্ডিং পুলিশের হাতে আসে। যার ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল, মানিকতলার বাগমারির রাকেশ পাল এবং বারাকপুরের শেখ সলমন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করার চেষ্টার জন্যই পুলিশ এই পদক্ষেপ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
‘ডার্বি বাতিল করলে কর, জাস্টিস ফর আরজি কর’ এই ব্যানারে রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ হাওড়ার কদমতলা এলাকায় মিছিল করেন দুই ব্যানারের সমর্থকরা। কদমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাওয়ার হাউস মোড় পর্যন্ত হয় সেই মিছিল। যুবভারতী মিছিলেই অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করে পুলিশ আগে থেকে পদক্ষেপ করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় বিকাল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিএনএসএস ১৬৩ ধারা জারি করা হয়।