প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত ওয়ানড়। সেখানে হতাহতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এদিকে কেরলের কাজে যান বাংলার বহু শ্রমিক। বিপর্যস্ত এলাকায় বাংলার কতজন শ্রমিক আটকে রয়েছেন, তা বিধানসভায় জানতে চান হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। ওই প্রশ্নের জবাব শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, ওয়ানড়ে আটকে পড়েছেন বাংলার ২৪২ জন শ্রমিক।
শুক্রবার শ্রমমন্ত্রী জানান, আটকে পড়া ২৪২ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। আটকে পড়া ওই শ্রমিকরা দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। বাকিদের সঙ্গে সন্ধ্যার মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে বলেই আশা মন্ত্রীর। পাশাপাশি এও জানান, ‘এই রাজ্যের শ্রমিকরা অনেক বেশি দক্ষ। তাই তাঁদের চাহিদাও বেশি। সে কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কেরলে কাজ করতে যান শ্রমিকরা।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছে, আপাতত ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভয়াবহ ভূমিধসে। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর টানা চারদিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাজ করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। নৌসেনার সঙ্গে মিলিতভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে উপকূলরক্ষা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা এবং বায়ুসেনাও। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা, সন্ধান চালাতে ব্যবহৃত হবে বিশেষ রাডার। ড্রোনের মাধ্যমে খুঁজে দেখা হবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও কেউ বেঁচে রয়েছেন কিনা। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। গোটা ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে বলেই অনুমান। কারণ, কাদামাটি সরাতেই উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ।
কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং ধসের কারণে ওয়ানড়ের একাধিক সেতু এবং রাস্তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। ওয়ানড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেব বিপর্যস্ত এলাকায় যাবেন বলেও জানান তিনি। সেখানে গিয়ে দুদিন থাকবেন তাঁরা। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।