চলন্ত ট্রেনে কর্তব্যরত আরপিএফের গুলিতে হত ৪

আরপিএফ-এর কর্মীর গুলিতে প্রাণ গেল ৪ যাত্রীর। সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাওয়া ১২৫৯৬ ডাউন জয়পুর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছিলেন আরপিএফ-এর কর্মী। আর সেই আগ্নেয়াস্ত্র থেকে হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করেন ওই আরপিএফ জওয়ান। এরপর চলন্ত ট্রেনেই মৃত্যু হয় চারজনের। হত চার জনের মধ্যে রেল পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং ট্রেনটির প্যান্ট্রি কারের এক কর্মীও রয়েছেন। সোমবার  ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে ঘটে এমন ভয়ঙ্কর এক কাণ্ড। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার কাকভোরে যখন ট্রেনটি পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় হঠাৎই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চেতন সিংহ।

রেল সূত্রে এ খবরও মিলেছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। গুলি চালিয়ে চার জনকে হত্যা করার পরেই পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে ট্রেনের চেন টেনে এবং ঝাঁপ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন তিনি। তার আগেই অবশ্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

কী কারণে ওই আরপিএফ কর্মী এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক জন ওই আরপিএফ আধিকারিকের পূর্ব পরিচিত। তবে মৃতদের কারও সঙ্গেই বিবাদ ছিল না তাঁর। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না অভিযুক্ত ব্যক্তি। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। তাঁকে কয়েক দিন বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে নাকি তিনি জানিয়েছিলেন, একদম সুস্থ রয়েছেন তিনি। ওই ঘটনার পর ট্রেনটিকে বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দেহগুলিকে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেদকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপরই ঘটনাস্থলে যান জিআরপির কমিশনের রবীন্দ্র শিসভে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + seven =