সিঁথিতে বাহুবলীদের গুণ্ডাগিরির ঘটনায় ধৃত ৬, অভিযুক্তদের হয় সাফাই অতীনের

ফের বাহুবলীদের গুণ্ডাগিরির ছবি ভাইরাল। এবারের ঘটনাস্থল সিঁথি। অভিযোগ, ৫ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় প্রোমোটার অভিজিৎ সরকারের অফিসে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে কলকাতা জুড়ে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এরইমধ্যে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানাকে শনিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শনিবার বিকালেই গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন কুমার পাল এবং কানোয়ালজিৎ শী ওরফে কানু নামে দুই অভিযুক্তকে। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশাল দেব, মনু পাণ্ডেকেও। পুলিশ সূত্রে এও জানানো হয়েছে, হামলার যে সিসিটিভি-র ফুটেজও সামনে এসেছে তা দেখেই চিহ্নিত করা হয় ধৃত এই ৬ জনকে।

আক্রান্ত প্রোমোটারের দাবি, হামলাকারীরা নিজেদের কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচয় দেয়। তাঁদের মুখে শোনা যায় আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং গ্যাংয়ের নামও। এদিকে রানার সঙ্গে ইতিমধ্যেই অতীন ঘোষ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একাধিক সিনিয়র তৃণমূল নেতার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়েও বঙ্গ রাজনীতিতে আলোড়ন পড়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ধৃত রানাকে তিনি ভালভাবেই চেনেন বলে জানিয়েও ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলেছেন অতীন। তবে রানাকে সজ্জন ব্যক্তি বলেও সার্টিফিকেট দিতে দেখা গেছে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়রকে। অতীন অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানা সম্পরিকে বলেন, ‘ও তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মী। তবে সিঁথি থানা বা কাশীপুর থানায় ওর নামে কোনও কেস নেই। পুলিশ যে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তা আমি পূর্ণ সমর্থন করি। ও দোষ করে থাকলে ওর সাজা পাওয়া উচিত।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 10 =