হাওড়া –বালি–বেলুড় এলাকার প্রখ্যাত আর বেশ পুরনো পুজোর একটা তালিকা তৈরি করা হলে প্রথম দু–একটির মধ্যেই নাম থাকবে কুমিল্লা পাড়া পল্লিমঙ্গলের। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ২০২৫–এ এই পুজো পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। আর এই পুজোর ঢাকে পড়ল কাঠি রবিবার ২৭ জুলাই খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে। ৭৫ বছরের পুজো হওয়ায় এক্কেবারে প্রথম থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন পল্লিমঙ্গলের সদস্যরা। যেখানে সক্রিয় অংশ নিচ্ছেন আট থেকে আশি সব্বাই। খুঁটি পুজোর এই অনুষ্ঠানে পা রেখে বুঝতে বাকি থাকল না ২০২৫-এ বহু মেগা পুজোকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বেলুড়ের এই পুজো।
খুঁটি পুজো করেই এদিন শুধু থেমে থাকেননি পল্লিমঙ্গলের সদস্যরা। ছিল নজর কাড়া এক বিচিত্রানুষ্ঠান। যেখানে অংশ নিতে দেখা গেছে এলাকার কচিকাঁচা থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের দিশারিদের। এছাড়াও অংশ নিয়েছেন দুই সংগীত শিল্পী। এদের প্রত্যেকের পারফর্ম্যান্স মন ছুঁয়েছে এদিন যাঁরা উপস্থিত ছিলেন পল্লিমঙ্গলের পুজো প্রাঙ্গনে।
আর এই বিচিত্রানুষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য আয়োজন ছিল প্রাতঃরাশ থেকে এলাহি এক মধ্যাহ্নভোজের। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক অনুষ্ঠান। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল ইংরেজি এক প্রবাদ, ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। সত্যিই তো, এটা যদি পুজোর শুরুয়াত হয় তাহলে পুজোর কয়েকটা দিন কী হতে চলেছে তা সহজেই অনুমেয়।
এদিকে পল্লিমঙ্গলের উদ্যোক্তারা জানালেন, এবারের পুজোর বাজেট ২০ লাখ। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ অনেকটাই বেশি এই বাজেট। ফলে পুজো যে হবে সাড়ম্বরে। এই বাজেট দেখে মনে হতে পারে স্পনসর পেয়েছে কুমিল্লা পাড়া পল্লিমঙ্গল বা রয়েছে রাজনৈতিক কোনও অনুদান। বাস্তব কিন্তু তা বলছে না। এই বাজেট গড়ার পিছনে রয়েছেন ক্লাব সদস্যরাই আর স্থানীয়রাই। তাঁদের ঐকান্তিক চেষ্টায় তিল তিল করে তৈরি হয়েছে এই পুঁজি। আর সব্বার ঐকান্তিক এই প্রচেষ্টাকে একত্রিত করেই হবে দুর্গামায়ের আরাধনা।