রেশন ডিলারদের আর্থিক উন্নয়নে রাজ্য সবসময় সচেতন। তাই তাদের ধর্মঘটের কোনও যৌক্তিকতা নেই। রেশন দোকান মালিকদের ধর্মঘটী সংগঠন যথাক্রমে ওয়েষ্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন,কলকাতা অ্যা্ন্ড আর্বান ফেয়ার প্রাইস শপ ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্য খাদ্য দফতরেরর যুগ্ম সচিব। আর এই চিঠিই এবার এল প্রকাশ্যে। যেখানে রেশন ব্যবস্থা সংস্কার ও দোকান মালিকদের আর্থিক উন্নয়নে ৯ দফা ব্যবস্থা নিয়েছে তা বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনও রাজ্য রেশন ডিলারদের হ্যান্ডেলিং লোকসান বাবদ কোনও টাকা বরাদ্দ করে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চিঠি দিয়েও কোনও জবাব পায়নি। তারপরও ২০২২ সালের ১ অগাস্ট থেকে রাজ্য রেশন ডিলারদের এই ক্ষতি মেটাচ্ছে। আর এই খাতে বছরে রাজ্য খরচ করে ৫৪ কোটি টাকা। রেশন ডিলাররা ০.২০ শতাংশ এবং হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটাররা ০.১০ শতাংশ হারে এই ক্ষতির টাকা পেয়ে থাকেন। রেশনে খাদ্যশষ্য অর্থাৎ চাল,গম, চিনি বিতরণের সময় কিছু পরিমান পরে নষ্ট হয়। এই লোকসান রেশন দোকানের মালিকরা মেটান। এখন রাজ্য সরকার তা কিছুটা বহন করছে।
প্রসঙ্গত, রেশন দোকানদাররা খাদ্যশস্য বিতরণের জন্য প্রতি কুইন্টালে ৯৫ টাকা কমিশন পান। যার মধ্যে কেন্দ্র দেয় মাত্র ৪৫ টাকা। বাকি টাকা দেয় রাজ্য সরকার। এরপরও রাজ্য সরকার তাদের অতিরিক্ত ৫০ টাকা কমিশন দিয়ে থাকে প্রতি কুইন্টালে। দুয়ারে রেশন চালু করার পর রেশন দোকানদারদের চাল-গম-চিনি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি কিলোগ্রামে ৭৫ পয়সা করে আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। এছাড়াও দুয়ারে সরকার চালু করার পর রেশন দোকান মালিকদের মাসিক ৫ হাজার টাকা আয় নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা করেছে। রাজ্য খাদ্য দফতরের তরফে সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে খাদ্য দফতরের এই বার্তা বিভিন্ন রেশন ডিলারদের যাতে পাঠানো হয়। রেশন ডিলারদের ডাকা ধর্মঘটের আগে রাজ্যের এই চারটি সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হলেও এবার সেই চিঠি প্রকাশ্যে। যদিও এই চিঠির বক্তব্য নিয়ে খাদ্য দফতরের কোনও কর্তা মন্তব্য করতে চাননি।

