ভোট বয়কট করা হয়েছে। এ কথা শুনে বুথের সামনে থেকেই ফিরে যেতে হয়েছিল অনেক ভোটারকে। এরপর ভোটের ফল প্রকাশ হতে অবাক প্রার্থীরাও। ওই বুথেই শাসক দল তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ। যেখানে ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি,সেখানে এত ভোটে পড়ল কীভাবে এই অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। এরপরই বিস্মিত বিচারপতি দ্রুত অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন। ৩ অগাস্টের মধ্যে ডিজি ও আইজি-কে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য একজন অফিসার নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি তলব করা হয়েছে রাজারহাটের বিডিও-কে।
আদালত সূত্রে খবর, রাজারহাট এলাকার জাঙ্গা হাতিয়াড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আবদুল কালাম কলেজের একটি বুথের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলাকারীর দাবি,স্থানীয় কিছু বিষয় নিয়ে ভোটাররা ভোট বয়কট করেন। যাঁরা ভোট দিতে গিয়েছিলেন, তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে ওই এলাকার ভোটার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের পরিবার। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ হিসেবে মঙ্গলবার আদালতে ভিডিয়ো ফুটেজও তুলে দেন মামলাকারীরা।কিন্তু ওই বুথেই দেখা যায় ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বয়কটের পরেও কী ভাবে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়ল,সেই প্রশ্নও উঠেছে। এদিকে নিয়মানুসারে, কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লে, সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের থেকে খোঁজ নেয় কমিশন। দেখা হয়, কেন এত ভোট পড়ল। প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে,পুনর্নির্বাচন হবে কি না। এই বুথের ক্ষেত্রে তা হয়েছিল কি না,কমিশন সূত্রে জানা যায়নি।