রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানানো হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে ইডির দাবি, বয়ান দিয়েও তা প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করছেন সাক্ষীরা। সাক্ষীদের নাম প্রকাশ্যে আসার ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও নগর দায়রা আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় ইডির আইনজীবীকে। এই প্রসঙ্গের উত্থাপন হয় রেশন-মামলায় গ্রেফতার হন বিশ্বজিৎ দাসকে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে। সেখানেই বিশ্বজিতের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, কেন সাক্ষীর নাম আড়াল করা হচ্ছে রিমান্ড লেটারে? তারই জবাবে এমনটাই জানান ইডির আইনজীবী।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বিশ্বজিৎ দাসকে আদালতে তোলা হয়। ইডির রিমান্ড লেটারে দু’জন সাক্ষীর বয়ানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নাম উল্লেখ করা হয়নি। এরপরই বিশ্বজিৎ দাসের আইনজীবীরা প্রতিবাদ করে জানতে চান কেন সাক্ষীদের নাম উল্লেখ করা হল না তা নিয়ে।এরপরই ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির মামলায় পর পর একাধিক সাক্ষীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যে বয়ান দিয়েছে পরে তা প্রত্যাহার করতে চেয়েছে। ভয় দেখানোর কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন। তাই ইডি সাক্ষীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আদালতে জানায়। যদিও এই দাবির আইনি যৌক্তিকতা নেই বলে দাবি করেন বিশ্বজিৎ দাসের আইনজীবী।
এদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গত বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার হন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর দাবি, তিনি অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। তিনি একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর। পাশাপাশি তিনি জানান, শঙ্কর আঢ্যকে তিনি চিনতেন কিন্তু ঘনিষ্ঠতা ছিল না।