কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি বা এতদিন ঠিক কী ঘটছিল সেখানে তার উত্তর খুঁজতে শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গড়ে দেওযা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সঙ্গে তাঁরা এও জানতে চাইছেন, কেন হঠাৎ পথে নেমে এই ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হলেন এলাকার মহিলা থেকে শুরু করে অন্যান্য বাসিন্দারা তাও। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, শুক্রবার আবারও সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয় বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’৷ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে নিউটাউন থেকে তাঁরা রওনা দেন এই ছয় সদস্যের দল। বিজেপির সংসদীয় টিমে আছেন রাজ্য বিজেপির আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ। এর পাশাপাশি রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, সুনীতা দুগ্গল, প্রতিমা ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। সন্দেশখালি ঘুরে এসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার আগে মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কোনও সভ্য সমাজে ঘটে না। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার চায় না, ওখানে যা ঘটছে, সেটা সবার সামনে আসুক। সেই ঘটনা সামনে আনতেই আমরা নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলব।’ অন্যদিকে, শুক্রবারই সন্দেশখালিত কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে গোটা সন্দেশখালি জুড়ে। একাধিক সংবেদনশীল জায়গায় রয়েছে ১৪৪ ধারা।
এদিকে যে দলের ৫ জনই মহিলা৷ কিন্তু, অভিযোগ, ১৪৪ ধারা জারি না থাকা সত্ত্বেও সন্দেশখালিতে ঢুকতে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ৷ অন্যদিকে, বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের সন্দেশখালি অভিযানের খবর পেয়ে সন্দেশখালি ঢোকার আগেই রামপুরের কাছে ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ৷ বিজেপির প্রতিনিধি দল সেখানে পৌঁছতেই তাঁদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়৷ তখনই শুরু হয় বাক বিতণ্ডা৷ পুলিশের সামনে রীতিমতো রণং দেহী মূর্তি নেন বিজেপির মহিলা সাংসদেরা৷ যার পুরভাগে ছিলেন অগ্নিমিত্রা স্বয়ং৷ বিজেপি-র অভিযোগ, তাঁরা জানিয়েছিল যে, তাঁদের ৫ জনের প্রতিনিধি সন্দেশখালি যাবেন৷ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হবে না৷ অভিযোগ, এরপরও পুলিশের অনুমতি মেলেনি৷ পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শেষমেশ রামপুরের কাছে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অগ্নিমিত্রারা৷ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে ঘটনাস্থলে বহু মহিলা পুলিশ মোতায়েন করে স্থানীয় প্রশাসন৷ তাঁদের সঙ্গেও বচসায় জড়ান বিজেপি নেত্রীরা৷