একশো দিনের কাজের পর এবার আবাস যোজনার টাকাও পাঠানো হবে রাজ্যের ভাঁড়ার থেকে। আর তারই প্রস্তুতি শুরু হল নবান্নে। নবান্ন সূত্রে এ খবরও মিলেছে, এপ্রিল মাস পর্যন্ত কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে রাজ্য। এর মধ্যে টাকা না এলে রাজ্যের তরফে ধাপে ধাপে আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের টাকা পাঠানো হবে।এই ইস্যুতে আগামী ১ এবং ২ মার্চ পঞ্চায়েত স্তরে বৈঠকে বসবেন সরকারি আধিকারিকরা। এদিকে রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে, ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কথা থাকলেও আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এর মাঝেই আগামী ১ ও ২ মার্চ পঞ্চায়েত স্তরের বৈঠকে আবাস যোজনার প্রাপকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।
একশো দিনের কাজের টাকা প্রাপকদের ছাড়াও আবাস যোজনার প্রাপকদের কেন ডাকা হচ্ছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে প্রায় ৩৩ লাখ আবাস যোজনার উপভোক্তা রয়েছে। সেখানে ধাপে ধাপে এঁদের টাকা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে ১১ লাখ উপভোক্তাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে এই ১১ লাখ উপভোক্তাকেই টাকা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ‘পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট’ বা পিডব্লুএল-এ আরও ২২ লাখ উপভোক্তার নাম রয়েছে। তাঁদেরকে ধাপে ধাপে টাকা মেটানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বলবেন সরকারি আধিকারিকরা। শেষ মুহূর্তে প্রকৃত অর্থ প্রাপকদের সমস্ত তথ্য পুনরায় যাচাই করে নেওয়া হতে পারে এই সময়ে।
এদিকে নবান্ন সূত্রে এ খবরও মিলছে, প্রাথমিক ভাবে ১১ লাখ আবাস যোজনার অর্থ প্রাপকদের টাকা মেটাতে গেলে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার থেকে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। প্রত্যেকে প্রাপককে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বাকি ২২ লাখ উপভোক্তাকে টাকা পাঠানোর জন্য রাজ্যের প্রয়োজন হবে আরও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকাও ধাপে ধাপে মেটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় ই সরকারের তরফে টিম পাঠানো হয় আবাস যোজনার প্রকৃত প্রাপকদের তালিকা প্রস্তুতির জন্য। সেখানে ১১ লাখ উপভোক্তাকে অর্থ মঞ্জুর করার জন্য সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে এই আবাস যোজনার টাকা পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার।