তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সুকান্ত। শনিবার হুইল চেয়ারে বসেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বের হতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমান বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। এদিকে, সুকান্ত বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই বিজেপির জাতীয় অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন দিলীপ ঘোষ এবং শমীক ভট্টাচার্যরা।
গত বুধবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে বাধা পায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় টাকির হোটেলে আটকে দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। তবে কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের অন্য গেট দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে বেরিয়ে পড়েন সুকান্ত। ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু হয় পুজো। কিন্তু এর পরই পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। গাড়িও এগোতে পিছতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। প্রবল ঝাঁকুনিতে মাটিতে পড়ে যান সুকান্ত। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশই ফেলে দেয় তাঁকে। এরপরই সংজ্ঞা হারান সুকান্ত। পুলিশের গাড়িতে করে তাঁকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের বেড নম্বর ১২৯-এ ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয় পেটে, বুকে, মাথায়, ঘাড়ে ও স্পাইনাল কর্ডে। পাশাপাশি স্যালাইন, অক্সিজেন এবং পেন কিলার দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতি হতে শুরু করে। শুক্রবার সুকান্তকে দেখতে ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান মিঠুন চক্রবর্তী এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরদিনই ছুটি মিলল সুকান্তর।