বাঙালির ‘সেকেন্ড হোম’ বললেই সবার আগে আসবে পুরীর নাম। সারা বছরই পুরীর আনাচে- কানাচে ছড়িয়ে থাকেন বাঙালি পর্যটকেরা। আর পুরী ভ্রমণ মানেই জগন্নাথের মন্দির দর্শন। তবে যাঁরা এখনও যাননি তাঁদের জন্য রইল বিশেষ কিছু তথ্য।
এই পুরীর মন্দিরের পাঁচটি জায়গা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। যেমন, সিংহদুয়ার, গরুড় স্তম্ভ, স্নান বেদী ও কল্পবট।
সিংহদুয়ারঃ জগন্নাথ মন্দিরের প্রবেশ পথ বা সিংহ দুয়ারকে বলা হয় পূর্ব দরজা। জগন্নাথ মন্দিরে চারটি দরজা আছে। মন্দিরের মূল প্রবেশপথ সিংহদরজা। এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করার সময় ঢেউয়ের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু, সিংহদরজা অতিক্রম করার পর ফের ঘুরে পিছন ফিরে একই দিকে গেলে আর ঢেউয়ের আওয়াজ শোনা যায় না।
গরুড় স্তম্ভঃ সিংহদুয়ার দিয়ে প্রবেশ করে প্রথমেই ভক্তরা গরুড় স্তম্ভে মাথা নত করেন। অনেকে মূর্তিটি জড়িয়ে ধরেন। সেটাই নাকি নিয়ম। গরুড় স্তম্ভের কাছে দাঁড়ালে সেখান থেকে সরাসরি জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। কথিত আছে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং এই গরুড় স্তম্ভ থেকে শ্রী জগন্নাথ দেবের মূর্তির দর্শন করতেন। এই কারণে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অনুগামীদের কাছে গরুড় স্তম্ভ অত্যন্ত পবিত্র।
স্নান বেদীঃ রথের আগে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার স্নানযাত্রা যেখানে হয় সেটিকে বলে স্নান বেদী। এই স্নানযাত্রার পরে ভগবান অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ঘরে ১৫ দিন ঘরবন্দি থাকেন। এই সময় জগন্নাথ দর্শন বন্ধ থাকে। ঈশ্বরকে সুস্থ করতে বিশেষ খাবার তৈরি করা হয়। তিনি সুস্থ হওয়ার পর শুরু হয় রথযাত্রা।
কল্পবটঃ জগন্নাথ মন্দিরের আরেক আকর্ষণীয় বস্তু হল কল্পবট। এর আরেক নাম ইচ্ছা পূরণকারী গাছ। এটি একটি প্রাচীন বটগাছ। অনাদিকাল ধরে এই গাছ বিদ্যমান। ভক্তদের কাছে এটি একটি অত্যন্ত পবিত্র গাছ। কথিত আছে, জড় জগতের ধ্বংসের সময়ও এই গাছটি অক্ষত থাকে। এই কল্পবতের পাতায় কৃষ্ণের বাল্যকাল দেখতে পেয়েছিলেন ঋষি মার্কণ্ডেয়।