অনুব্রতর বোলপুরের অফিসে হানা ইডি-র

সোমবার বিকেলে হঠাৎ-ই বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের। বোলপুরের যে কার্যালয়ে বসতেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, গোরু পাচার মামলার তদন্তের কারণেই এদিনের এই তল্লাসি অভিযান ইডি-র।

এদিকে সূত্রে খবর, ইডির তিন জন প্রতিনিধি সোমবার প্রথমে বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে যান। সেখানে গিয়ে কথা বলেন বোলপুর বিএলআরও-র সঙ্গে। এরপরই তারা বোলপুরের নিচু পট্টি এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সমস্ত জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরই সোজা পৌঁছে যান তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে।

সেখানে তৃণমূলের কার্যালয়ের মাপজোক করার পাশাপাশি কার্যালয়ের আশেপাশের দোকানেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকেরা। আশেপাশে দোকান কে ভাড়া দিয়েছে বা ভাড়া কাকে দিতে হয় এমন একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূলের এই কার্যালয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি।

এদিকে রবিবার বীরভূম মেলায় সিউড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠান থেকেও যে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী তাতে স্পষ্ট যে তিনি অনুব্রত মণ্ডলেরই পাশে রয়েছেন। কারণ, এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে বন্দি করে রাখলেও তাঁকে মানুষ মনে রেখেছে। মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘কেষ্টকে ওঁরা কতদিন জেলে ভরে রেখেছে। কিন্তু মানুষের মন থেকে ওঁকে দূরে করতে পারেনি। আমি আসার সময় দেখছিলাম তরুণ প্রজন্ম ওঁকে নিয়ে কথা বলছে।’ ফলে এটা স্পষ্ট যে অনুব্রত মণ্ডলকে কোনওভাবেই দল থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও একাধিক বার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে মন্তব্য পেশ করতে দেখা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সপ্তাহ দুয়েক আগেই বীরভূমের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেও উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ। অনুব্রত মণ্ডল সাংগঠনিক কায়দায় যেভাবে দল চালাতেন সেইভাবেই কাজ করতে হবে বলে ইঙ্গিত দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রবিবারের এই সফরের পরেই এই ইডি হানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 10 =