সন্দেশখালি মামলায় এবার যুক্ত করা হল ইডি, সিবিআইকে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার ও আদিবাসীদের জমি দখল করে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। এই শুনানিতেই ইডি ও সিবিআইকে যুক্ত করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলা শোনার সময় সেখানকার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর পরই নির্দেশ দেন, এবার এই মামলায় যুক্ত থাকবে ইডি, সিবিআই। যেদিন পরবর্তী শুনানি হবে, সেদিন সবপক্ষ উপস্থিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। সেই নির্দেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে এদিন প্রধান বিচারপতির ঘরে আর্জি জানায় রাজ্য। সেই মামলার শুনানিপর্বে উঠে আসে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন প্রসঙ্গ। আগেই আদালত তা গ্রহণ করেছিল। এবার তা শুনবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিন কেটে গেলেও কিছু হয়নি। জানি না কেউ তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন কি না।’ এই প্রসঙ্গেই শাহাজাহানের নাম না করে বিচারপতির সংযোজন, ‘ তিনি একজন জেলা পরিষদের সদস্য। কোনওভাবেই তিনি আইন অমান্য করতে পারেন না। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিতে পারি।’ সন্দেশখালির ১৪৪ ধারা জারি নিয়েও প্রধান বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, ‘তাঁকে না ধরলে ১৪৪ ধারা প্রয়োগের কী অর্থ? সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, এদিনের মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, বিভিন্ন রিপোর্টিংয়ে যা দেখানো হচ্ছে, বলা হচ্ছে, তাতে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ হয়। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আদিবাসীদের জমি দখল করার জন্যই এখানে একটা ভায়োলেন্স তৈরি হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সন্দেশখালি ইস্যুতে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় এজলাসে বসেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এবার প্রধান বিচারপতিকেও সন্দেশখালি ইস্যুতে একই ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা নিয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১৪৪ ধারা সংক্রান্ত মামলায়, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ১৪৪ খারিজের নির্দেশ এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দর ১৪৪-এ অন্তর্বতীকালিন স্থগিতাদেশের নির্দেশ বহাল রাখে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।