রাজ্য প্রশাসনিক স্তরে একাধিক ক্ষেত্রে রদবদল। এবার সচিব পর্যায়ে বড় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। সোমবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। এখনও লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়নি। তবে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনের একাংশ সূত্রে খবর।
এদিকে নবান্ন থেকে প্রকাশিত এই নির্দেশিকায় দেখা যাচ্ছে, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরে। ফলে তিনি যুগ্ম দায়িত্ব পেলেন। কারণ এর আগে হিডকোর চেয়ারম্যান ছিলেন দেবাশিস সেন। তাঁর অবসর গ্রহণের পর সেই জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছিলেন সঞ্জয় বনসল। অন্যদিকে, নীলম মিনাকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ-মৎস্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্বে থাকা রোশনি সেনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান ও এমডি পদে। পাশাপাশি ইনস্টিটিউট অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ডের অধিকর্তা পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনব চন্দ্রকে। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, এই বদলি রুটিন। উল্লেখ্য, দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল হয়েছে।
এর আগেই একাধিক স্তরে রদবদল। নবান্ন থেকে জানানো হচ্ছে, এই বদলি একেবারেই রুটিন। আমলাদের যে বদলি করতে হবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সার্ভিস রুল অনুযায়ী এই বদলি হয়ে থাকে। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে যে সমস্ত আধিকারিকদের তাঁদের নিজেদের জেলাগুলিতে পোস্টিং দেওয়া হয় না। ভোটের এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পাওয়া যায়। যে সমস্ত আধিকারিকরা হোম ডিস্ট্রিক্ট বা নিজের জেলায় রয়েছেন তাঁদের নির্বাচনের কাজে লাগানো যাবে না, স্পষ্ট একটি নির্দেশিকাতে এমনটাই বলা হয়েছে। পাশাপাশি গত চার বছর যদি কোনও আধিকারিক এক জেলাতে তিন বছর কাটান তাঁকে ভোটের কাজে যুক্ত করা যাবে না। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এই সময়সীমা ধরতে হবে।
শুধু তাই নয়, কোনও আধিকারিকের প্রোমোশনের পর যদি তিনি একই জায়গাতে থেকে যান তাহলে তাঁর জন্যও এই এক নিয়ম প্রযোজ্য হতে চলেছে। এই নিয়ম জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ডেপুটি পুলিশ সুপারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সম্প্রতি সময়ে একাধিক ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকও বদলি হয়েছেন।