কোন্নগরে নৃশংসভাবে শিশু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার শিশুর মা ও তাঁর বান্ধবী। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে শ্রেয়াংশ শর্মার মা শান্তা শর্মা ও তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিনকে। ইফফাত পারভিনকে ওয়াটগঞ্জ থানার খিদিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে শান্তার গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে এলাকায়।
এই দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই তাঁদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এদিকে স্ত্রী গ্রেফতার হতেই হতবাক শ্রেয়াংশের বাবা পঙ্কজ শর্মা। তিনি বলেন, স্ত্রী এই ঘটনায় যুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন পরিচিত কেউ খুন করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় খুন হয় শ্রেয়াংশ। প্রথমে ইট দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করা হয়। এরপরই ছুরি দিয়ে লাগাতার আক্রমণ চলে। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি খুনি। বাড়ির গণেশ মূর্তি দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় আট বছরের বাচ্চাটির মাথা। দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন পুলিশ কর্তারা। দোষীদের কঠোরতম শাস্তিরও দাবি ওঠে এলাকায়। ঘটনার নেপথ্যে শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিনের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিন তাঁদের গ্রেফতারি নিয়ে শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্নব বিশ্বাস উত্তরপাড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠকও করেন। তিনি জানান, দুই মহিলার মধ্য়ে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের বিয়ের আগে থেকেই সেই বন্ধুত্ব। শান্তার বিয়ে হয় ২০১২ সালে। পারভিনের বিয়ে ২০১৮ সালে। কিন্তু, বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীকে ছেড়ে চলে আসেন তিনি। কিন্তু এখনও ডিভোর্স হয়নি। সূত্রের খবর, বর্তমানেও তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। গভীর রাত পর্যন্ত কথাও চলত ফোনে। দীর্ঘদিন থেকেই দুজন দুজনের বাড়িতে যাতায়াত করত। সবটাই জানত পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পরের দিনও পারভিন শান্তার বাড়িতে এসেছিলেন বলে খবর।