সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী লকেট

শুক্রবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ভোজেরহাট থেকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা। সিআরপিসি ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর সেখান থেকে ১২টা ১৫ নাগাদ লালবাজারে নিয়ে আসা হয় লকেটকে। অর্থাৎ তাঁকে ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ করা হয় ৷ এর অর্থ হল সন্দেশখালিতে যেহেতু বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা এখনও বলবৎ রয়েছে। যাতে সেখানে গিয়ে নতুন করে আর কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য এই ধারা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে সিঙ্গুরে তুমুল বিক্ষোভে বিজেপি।

শিবু-উত্তমরা গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। আর এই ইস্য়ুতেই বৃহস্পতিবার রাতে সন্দেশখালি থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় বঙ্গের স্য়াফ্রন ব্রিগেডকে। ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। আর এই ঘটনায় গ্রেফতারও হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সুকান্তর সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা সন্দেশখালির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেও পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারার কথা বলে সরে যেতে বলা হয়। তারপরেও শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভে অনড় থাকে বিজেপি। তারপরই শোনা যায় আটক করা হয়েছে সুকান্তকে। পরে গ্রেফতার। যদিও এর কিছু সময়ের মধ্যেই আবার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনও মেলে বলে খবর। নৌকা করে ধামাখালি ঘাটে এনে ছেড়ে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।

এদিকে শুক্রবার প্রথমে লকেটকে আটক করে পুলিশ। তারপর গ্রেফতার করা হয়। তাতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপির লোকজন। সিঙ্গু্রের বড়া এলাকায় শ্রীরামপুর থেকে বড়া যাবার রাস্তায় টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভ। পথ অবরোধ শুরু করেন সিঙ্গুর বিধানসভার বিজেপি কর্মীরা। ব্যাপক যানজটও তৈরি হয়। এদিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রচুর পুলিশ নামানো হয় গোটা এলাকায়। শেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।

এদিকে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, অত্যাচারি শাহজাহানকে পুলিশ গ্ৰেফতার করছে না। কিন্তু বিরোধী দলকে আটকানো হচ্ছে। এটা লজ্জার বিষয়। সুর চড়াতে দেখা যায় এলাকার বিজেপি নেতাদেরও। ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় সিঙ্গুর বিধানসভার বিজেপি মণ্ডল চারের সভাপতি সুরজিৎ মণ্ডলকে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, ‘লকেট চট্টোপাধ্যায়কে যেভাবে গ্ৰেফতার করা হয়েছে তার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করা হয়েছে। শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে পারছে না, কিন্তু বেছে বেছে বিরোধীদের আটকানো হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জার ঘটনা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 7 =