বিচারপতিকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা

সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই ইস্যুকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এদিন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানান, ‘শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।’ এদিকে এই প্রসঙ্গে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, ‘এটাই স্বাভাবিক যে শাসক দলের নেতাদের আটকানো হবে না। আপনার দল ক্ষমতায় এলে তারাও সেটাই করবে।’

প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তবে পথেই আটকে দেয় পুলিশ। এই দলেই ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও আইনজীবী-সহ ৬ সদস্য। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশ তাঁদের মাঝ রাস্তাতেই আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডা শুরু হয়।  বাসন্তী হাইওয়েতে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। গ্রেফতার হন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।  সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =