পুলিশের নজর এড়িয়ে মঙ্গলবার কাকভোরে সন্দেশখালি পৌঁছে যান বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, সৌরভ পালোধিরা। বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের এই দলে ছিলেন জয়রাজ ভট্টাচার্য, বিমল চক্রবর্তী, সীমা মুখোপাধ্যায়, সৌমিক দাস, মন্দাক্রান্তা সেন, কাজি কামাল নাসেররাও। বুদ্ধিজীবীদের সামনে পেয়ে এদিন তাঁদের নিজের নিগ্রহের কথা জানান গ্রামের মহিলারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কাকভোরে সন্দেশখালির সেই প্রত্যন্ত দ্বীপে পৌঁছে যান তাঁরা। ১৪৪ ধারা মেনে চারজন-চারজন করে ভাগ হয়ে সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া, পাত্রপাড়া এলাকায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথাও বলেন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। নতুন পাড়া, পোল পাড়া এলাকায় ঘুরে ঘুরে নির্যাতিতাদের অভিযোগ শোনেন।
এরপরই সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বাদশা মৈত্র বলেন, ‘আমরা আর কিচ্ছু না, শুধু একটাই কথা বলতে এসেছি। সন্দেশখালির মহিলারা যে লড়াইটা করছেন, তাতে কুর্নিশ জানাচ্ছি আমরা। গরিব মানুষ যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। এই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা একটা ঘটনার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। তাঁরা কেউ সমাজবিরোধী নয়। দীর্ঘদিন তাঁরা অত্যাচারিত হয়েছেন। প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারেননি। তাই তাঁরা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।’
অন্যদিকে, দেবদূত ঘোষ বলেন, ‘আমাদের সামনে যে মা-বোনেরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তাঁদের সাজপোশাকই বলে দিচ্ছে, তাঁরা এখানকার। তাঁদের দেখলেই বোঝা যাবে যে তাঁরা এখানকার। প্রচার হচ্ছে যে তাঁরা বানিয়ে বলছিলেন, মিথ্যা বলছেন। সত্যিকারের আন্দোলনকারী ভুক্তভোগী নন। যে কথা একেবারে সরসারি শোনার জন্য এখানে এসেছি।’
এদিকে একটা প্রশ্ন কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছেই আমজনতার মনে। তা হল, সন্দেশখালির আন্দোলন চলছে, তা মাস দেড়েক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এতদিনেও সেখানে কেন কোনও বুদ্ধিজীবীদের পা পড়ল না তা নিয়ে শুরু হয়েছে হাজারো জল্পনা।