গয়না চুরির ঘটনায় নন্দীগ্রাম থেকে গ্রেফতার পরিচারিকা

পরিচারিকার বিরুদ্ধে উঠেছিল সোনার গয়না চুরির অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নন্দীগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল ওই পরিচারিকাকে। সঙ্গে শেখ মহম্মদ নাজমুল আলম নামেও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে চুরি হওয়া সোনার গয়নাও। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ফেব্রুয়ারিতেই এয়ারপোর্ট থানায় এক লিখিত অভিযোগ জানান কৈখালির চিড়িয়ামোড় এলাকার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিমানবন্দর থানার পুলিশের একটি দল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পরিচারিকা ও তার সাগরেদকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এই পরিচারিকার নাম সুমিত্রা দাস। বাড়ি নন্দীগ্রাম থানা এলাকায়। গত প্রায় বছর দেড়েক ধরে সুমিত্রা কলকাতা সংলগ্ন কৈখালিতে কৌস্তভ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন। এতদিন কোনও সন্দেহ হয়নি চক্রবর্তী দম্পতির। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের বাড়ি থেকে কিছু মূল্যবান সোনার গয়না খোয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহকর্ত্রী শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ও তার আগেও বাড়িতে চুরি হয়। এই চুরির ঘটনার চক্রবর্তী দম্পতির সন্দেহ হয় বাড়ির পরিচারিকার উপর। এরপর সেদিনই বিমানবন্দর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী।

কৈখালির বাসিন্দা শর্মিষ্ঠাদেবীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮১ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। অবশেষে ঘটনার পর দু’সপ্তাহের মধ্যেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় এক বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান কৈখালির বাড়িতে কর্মরত পরিচারিকা সুমিত্রা দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি শেখ মহম্মদ নাজমুল আলমকেও নন্দীগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে সোনার গয়না চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই সোনার গয়নাও উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 3 =