রাজ্যসভা ভোটে হিমাচল প্রদেশে মহানাটক। এক মাত্র আসনের লড়াই। অথচ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অবশেষে ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হলেন বিজেপির ওপরেই। নিশ্চিত আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে হারিয়ে জয়ী ঘোষিত হন হর্ষ মহাজন। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক ক্রস ভোটিং করেছিলেন হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায়। আর সে কারণেই ৩৪-৩৪ ভোটে টাই হয়ে যায় অভিষেক মনু সিংভি এবং হর্ষ মহাজনের মধ্যে। ফলে টাই ব্রেকারের প্রয়োজন পড়ে। আর তাতেই খেলা সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। জিতেও শেষ মুহূর্তে বাজি পালটে যায়। জিতে যান বিজেপি প্রার্থী।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, নির্বাচন কমিশনের ১৯৬১ সালের ৭৫(৪) নিয়ম অনুযায়ী, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সমান ভোট পেলে সে ক্ষেত্রে ড্র হয়। টাই ব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী দুই প্রার্থীর নামের কাগজগুলি একটি বাক্সে রাখা হয়। বাক্সটিকে ভালো করে ঝাঁকিয়ে তারপর একটি চিরকুট তোলা হয়। যার নাম ওঠে তিনি হেরে যান। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তরফে টাই ব্রেকারের জন্য এই লটারি সিস্টেম চালু রয়েছে। তবে রাজ্যসভা এবং লোকসভার ক্ষেত্রে এই নিয়মে একটা মূল ফারাক রয়েছে। লোকসভার ক্ষেত্রে লটারিতে যার নাম ওঠে সে জিতে যায়। কিন্তু, রাজ্যসভায় হয় ঠিক উলটোটা। অভিষেক মনু সিংভির ক্ষেত্রেও ঘটে সেই ঘটনা। তাঁর নাম লটারিতে উঠলেও পরাজিত হন কংগ্রেস প্রার্থী।
সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে দাঁড়িয়ে জটিল থেকে জটিলতম মামলা লড়েছেন। তবে হেরে গেলেন রাজ্যসভার লড়াইয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে অপ্রত্যাশিত এই হারে ধাক্কা খেয়েছে হাত শিবিরও।