আর দেরি নেই লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর। নির্বাচন এগিয়ে আসতেই শুরু হয়েছে দলবদলের পর্ব শুরু। গত একুশের ভোটে ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূল ছেড়ে যোগদান করেন বিজেপিতে। সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়, অর্জুন সিং, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও একে একে সকলেই মুখ ফিরিয়েছেন। সকলেই যে একুশের ভোটের আগে যোগ দিয়েছেন এমন নয়। তবে একুশের ফল প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁদের। তাই এবার প্রথম থেকেই সতর্ক বিজেপি। অন্তত বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজেও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এরপর ধীরে ধীরে সংগঠনে তাঁর দায়িত্ব বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একুশের ভোটের পর বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে তাঁকে। সেই শুভেন্দুই এদিন জানিয়ে দিলেন, লোকসভা ভোটের আগে কোন নিক্তিতে মেপে দলে নেওয়া হবে নতুন সদস্যদের।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী এই দলবদল প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপির অনেক কর্মী ২০২১ সালের আগে বিজেপিতে এসে অনেক বড় বড় দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার দল যখন কাঙ্খিত আসন পায়নি, ৭৭-এ আটকে গিয়েছে, তখন তাঁরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আবার পাল্টিও খেয়েছেন। এতে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নেতৃত্বের যোগদান করার ক্ষেত্রে অনেকরকম প্রশ্ন আছে। আমাদের অনেক কিছু শুনতে হয়। আমি স্পষ্ট করে দিই পার্টিতে এখন যাঁরা আসছেন, নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন। পূর্ব শর্ত কোথাও দেননি। যেটা একুশের আগে জয়েনিংয়ের সময় অনেকেই প্রার্থীপদ বা সরকার এলে আরও কিছু পাব শর্তে বা আশায় এসেছিলেন। আমি স্পষ্ট করে দিচ্ছি এনারা কোনও পূর্ব শর্ত আমাদের রাজ্য সভাপতিকে, আমাদের ইনচার্জকে দেননি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী কৌস্তভ বাগচী যোগ দেন বিজেপিতে। এদিনই শুভেন্দু জানান, আগামী ৭ মার্চ বড় কিছু হতে চলেছে। বড় যোগদান হবে সেদিন। বিজেপি ইতিমধ্যেই এই যোগদানসংক্রান্ত বিষয় দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছে। বাংলায় যার আহ্বায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে ঢালাও যোগদান নিয়ে এবং পরে দলত্যাগ করে পুরনো দলে ফেরার ঘটনায় দলের অন্দরেই যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এই যোগদান নিয়ে নিয়মিত সরব হন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। আর সেই কারণেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে আর বিড়ম্বনায় পড়তে চাইছে না বিজেপি।