এবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী

দু’দিনের সফরে দুই মেদিনীপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ৪ মার্চ জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের পাশের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদানের সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে রোড শো করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ৫ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সরকারি প্রশাসনিক সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভা সেরেই কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম সফর। এবার মার্চের প্রথমেই ফের জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, একের পর এক জেলা সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে উত্তরবঙ্গে সফর করেছেন মমতা। জেলায় জেলায় সরকারি পরিষেবা প্রদানের কর্মসূচি ছিল তাঁর। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও সরকারি প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই হচ্ছে জেলাগুলিতে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সফর সেরে এবার দুই মেদিনীপুর যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরে কার্যত সিলমোহরও পড়ে গিয়েছে বলে সূত্রে খবর। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশও এসে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফর প্রসঙ্গে জেলাশাসক তানভির আফজল জানান, ‘৪ মার্চ জেলায় প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদানের সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে নির্দেশ এসেছে।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রী ওই দিন কোন কোন প্রকল্পের পরিষেবা সরাসরি মানুষের হাতে তুলে দেবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।

এদিকে সামনেই দেশ লোকসভা নির্বাচন। তাই লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর টানা জেলা সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পা রাখেন ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। সেবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। তারপর প্রায় এক বছর বাদে মার্চের ৪ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফর। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই ২০১৯ সালে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমানে জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে জেলার ২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে রাখা শাসকদলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =