সারদা চিটফাণ্ড মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর পর বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে মহামান্য আদালত। তবে জামিন পাননি দেবযানী। রবিবার মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়ি যান সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত।
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, দেবয়ানীর মা গুরুতর অসুস্থ। সম্প্রতি হাসপাতালের ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। এদিকে এই দশ বছরে বন্দিদশায় সংশোধনাগার থেকেই মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন দেবযানী। কখনও সখনও ভিডিও কলে মাকে দেখেছেন মেয়ে। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই মেয়েকে দেখার ইচ্ছা মায়ের। কিন্তু ভিডিও কলে তা সম্ভব হয়নি। তাই দেবযানী নিজেই প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। এরপর বিশেষ সিবিআই আদালত ও সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়। আদালত সেই আবেদনে সাড়াও দেয়। এরপরই ছ’ঘণ্টার জন্য মাকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি মেলে। রবিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ সংশোধনাগারের গাড়ি এসে থামে ঢাকুড়িয়া মুখার্জি পাড়া লেনে। সদর রাস্তায় প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই বাড়িতে ঢোকেন দেবযানী। দশ বছর পর পাড়ার মেয়ে আসছে দেখে অনেককেই অপেক্ষা করছিলেন দেবযানীকে দেখার। এদিকে তখন বাড়ির ভিতরেও পুলিশি। দেবযানী বাড়িতে প্রবেশ করার পরই বন্ধ হয়ে যায় মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদর দরজা।
প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় এই দুই নামকে ঘিরে এখন থেকে ১০ বছর আগে তোলপাড় পড়ে গেছিল গোটা রাজ্যে। সারদা চিটফান্ডের তদন্তে গ্রেপ্তার হন সংস্থার মালিক সুদীপ্ত সেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দেবযানী। তার পর থেকে চলছে তদন্ত। কোথায় দাঁড়িয়ে তদন্ত, সে নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। কিন্তু সুদীপ্ত বা দেবযানী কেউই জামিন পাননি। অবশেষে ১০ বছর পরে বন্দিজীবন থেকে সাময়িক মুক্তি পেলেন দেবযানী।