মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হচ্ছে সরকারি স্কুলে

২০২৪- লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে কয়েকটি সরকারি স্কুলে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে। এবার সরব হতে দেখা গেল খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতিকে।

সেনাবাহিনী থাকা নিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আমায় কেউ কিছু জানায়নি। এর জেরে পড়াশোনা বিঘ্নিত হবে। কেন কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্কুলগুলিকে নেওয়া হল না? ভোটের জন্য এখন থেকে স্কুল বন্ধ থাকলে পড়াশোনার বিরাট ক্ষতি হবে। স্কুল চয়ন করার ক্ষেত্রে পর্ষদের সঙ্গে কোনও কথা পর্যন্ত বলা হয়নি।’ এরই পাশাপাশি সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ‘অনেক স্কুলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাকি। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে অসুবিধা। জেলা প্রশাসনকে পুরো বিষয়টা জানাব।’

এদিকে সূত্রে খবর, ১ মার্চ শুক্রবার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে শুরু করছে রাজ্যে। প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি বাহিনী ঢুকবে। এরপর আরও ৫০ কোম্পানি। ভোট ঘোষণার পর দফায় দফায় আরও বাহিনী আসবে রাজ্যে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে একাধিক সরকারি স্কুলে। পর্ষদকে অন্ধকারে রেখে এই ক্যাম্প হচ্ছে বলেই জানান পর্ষদ সভাপতি।

এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, ১ তারিখ থেকে লোকসভা ভোটের জন্য বেথুন স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে থাকবে। সে সংক্রান্ত একটি নোটিসও দেওয়া হয়। নোটিসে এও জানানো হয়, এদিনের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বেলা ১টার পরিবর্তে সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে। এতো সব সামাল দিতে ১ তারিখ থেকে স্থগিত রাখা হচ্ছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন। ২ তারিখ নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসবে। চারটি ক্লাস হবে। ২০ মার্চের মধ্যে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাসংসদ। তবে পরীক্ষার মাঝে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প হলে তাতে সমস্যা হবে বলেই মত সংসদের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − three =