মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক শুভেন্দু-সুকান্তর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-কে পাখির চোখ করে শুক্রবার থেকেই রাজ্যে প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার তাঁর প্রচার কর্মসূচি ছিল নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। সেখানেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।

স্যাফ্রন ব্রিগেড সূত্রে খবর, এদিন কৃষ্ণনগরের সভার পরেই দুজনকে আলাদা করে ডেকে নেন মোদি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ১৬ মিনিট ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় সুকান্ত এবং শুভেন্দুর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের প্রস্তুতি এবং প্রচারের কৌশল ঠিক করে দিতেই নমোর সঙ্গে এই বৈঠক রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বলে খবর। এদিনের এই বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্য সরকারের একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয় মোদির সামনে। রাজ্যের একাধিক আমলা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে নালিশ জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, লোকসভার আগে কীরকম প্রস্তুতি চলছে সেই নিয়েও কথা হয় এই বৈঠকে।

বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির সভার আয়োজন দেখে খুশি হয়েছেন মোদি। আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে এবার বাংলা থেকে আরও ফল আশা করতে পারে বিজেপি। সেই ধারণা উঠে এসেছে এই বৈঠক থেকে। বৈঠকের পর মোদি নিজে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী এবং ডঃ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয়েছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের সুশাসনের কর্মসূচি কীভাবে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে যেসব বিজেপি কার্যকর্তা লড়ছেন তাঁদের প্রত্যেকের সাহস, আবেগ ও লড়াইকে আমি কুর্নিশ জানাই। সমবেতভাবে আমরা পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক উন্নততর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবো।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকেই রাজ্যে প্রচারে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন তিনি। প্রচারের শুরুতেই বিশেষ ভাবে টার্গেট করা হয় হুগলি জেলার আরামবাগ এবং নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র দুটিকে। এই দুটি কেন্দ্রেই প্রচারে ঝড় তুলতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামী ৬ তারিখ ফের বারাসত আসছেন তিনি। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হলে রাজ্যে আরও বেশ কয়েকবার তিনি নিজে প্রচারে আসবেন বলেই স্যাফ্রন ব্রিগেড সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে দুদিনের প্রচার কর্মসূচি শেষে রাজ্যের দুই শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 10 =