নির্বাচনী প্রচারে নামার প্রস্তুতি শুরু কংগ্রেস শিবিরেও

লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ পায়নি। তবে এই নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হতে পারে যে কোনও দিনই। এদিকে নির্বাচনী রণাঙ্গনে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এদিকে হাত শিবির সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চলেছে কংগ্রেস। চলতি মার্চ মাসেই বসতে পারে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকও। এমনকি এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রচারের ঝাঁপাবে হাত শিবির। আর এই প্রচারে নামার জন্য সমস্ত রাজ্যের প্রদেশ নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সঙ্গে এ খবরও মিলছে, প্রচার সামগ্রী এবং হোডিংয়ের জন্য দু’টি বড় প্রতিষ্ঠানকে বরাত দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে আরও খবর যে এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়াকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিজেপির মিডিয়া প্রচারের বিরুদ্ধে এই পালটা রণকৌশল বলে খবর। সেই সঙ্গে এবার তৃণমূল স্তর থেকে প্রচারে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রচারে গতি আনতে কংগ্রেস এক লাখ বুথ লেভেল এজেন্ট নিয়োগ করতে চলছে বলে জানা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় ইস্তেহার নিয়ে আগামী ৪ মার্চ বৈঠকে বসতে চলেছে এই সংক্রান্ত কমিটি। কৃষকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ সহ একাধিক বিষয় কংগ্রেসের ইস্তেহারে স্থান পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২০ সালে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল শতাব্দী প্রাচী  দল। সেই সময় প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে কৃষিপণ্যের ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত আইন চালু করা হবে। এদিকে সূত্রে এ খবর মিলছে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকদের ক্ষোভ কাজে লাগাতে মল্লিকার্জুন খাড়গের দল সচেষ্ট।। জানা গেছে, রাহুল গান্ধির ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ স্লোগানকে সামনে রেখেই ইস্তেহারে কৃষকদের প্রতি বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

এরই পাশাপাশি কংগ্রেসি ইস্তেহারে জাতি সুমারিতে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত। জনসংখ্যার ভিত্তিতে জাতি শুমারি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য নীতি-নির্ধারণে সহায়ক হবে বলে মনে করছে দলটি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করেছে কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে আলোচনা। গত লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তাঁর সহযোগীরা ৫২টি আসন পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 6 =