কল্যাণীর এমস নিয়েও শাসকদলকে বিঁধলেন মোদি

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কল্যাণী এমসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার এই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। তবে এমসের উদ্বোধনের আগে  দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। শনিবার কৃষ্ণনগরে মোদির জনসভায় উঠে আসে সেই প্রসঙ্গও।

মোদি শনিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জানান, ‘  মোদির গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি। কিছুদিন আগেই কল্যাণী এমস আমরা মানুষকে উৎসর্গ করেছি। ১০০০ সজ্জার এই হসপিটাল রোজগারে সুযোগ আনবে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। ৬ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে, আগামী ৫ বছর এই যোজনা চলবে, এটা মোদীর গ্যারান্টি।’ একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজ ২২ হাজার কোটির বেশি প্রকল্প আপনাদের দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এই প্রকল্পগুলি পশ্চিমবঙ্গে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পোর্ট, পেট্রোলিয়ামের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য। এতে যুব সমাজের কর্মসংস্থান হবে, উন্নতি হবে।’

উল্লেখ্য, কল্যাণী এমসের উদ্বোধনের আগে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের তরফে জানানো হয়েছিল যে পরিবেশ সংক্রান্ত যে ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে তা এক্ষেত্রে নেই। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই তা এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে, এই সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও হাসপাতালই সচল রাখা যায় না। সেক্ষেত্রে কল্যাণী এমসের-এর উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। যদিও নির্ধারিত সময়েই উদ্বোধন করা হয় কল্যাণী এমসের। সেই সময় হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তারা সমস্ত নথি সময় মেনেই জমা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি অন্তর্বিভাগ চালু রাখা হবে এবং আজ থেকে তিন বছর আগে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে যে বর্হির্বিভাগগুলি চালু হয় সেগুলিও সচল থাকবে বলে জানানো হয়।

এই প্রসঙ্গে ওয়েস্টবঙ্গেল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছিলেন, ‘২ লাখ ২২ হাজার ৭৮৬ বর্গমিটার জমির উপর কল্যাণী এমসের তৈরি। এই প্রকল্পের জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রথমে নেওয়া হয়নি। ২০২২ সালে ৬ অক্টোবর নির্মাণকারী সংস্থার তরফে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু, যেহেতু প্রথমে কোনও ছাড়পত্র ছাড়াই নির্মাণ তৈরি হয়, তাই পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তা মকুবের আবেদন জানানো হলেও পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে জরিমানা দিতেই হবে। তারপর মিলবে ছাড়পত্র।’

এবার বঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারে এসে এমসের নিয়েও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। উল্লেখ্য, কল্যাণী এমসের হাসপাতালটিতে আইসিইউ-এর সংখ্যা ১৮, অপারেশন থিয়েটার ২৩। ২০২১ সাল ২৭ জানুয়ারি থেকে সেখানে আউটডোর সচল রয়েছে। সেখানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =