নিজের রক্তে লেখা চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠালেন দার্জিলিংয়ের বিধায়ক

নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাচ্ছেন দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা। পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিধায়ক। শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানান বিধায়ক নীরজ জিম্বা। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিধায়কের এই চিঠি দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় পাহাড়ের রাজনীতি। সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক এও জানান, এবারও বিজেপির জেতার সম্ভবনা রয়েছে পাহাড়ে। বিজেপি সরকার দেশে ক্ষমতায় আসতে পারে। তবে অন্তত এবার পাহাড়ের গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। বহুদিন ধরেই স্থায়ী সমাধানের দাবি উঠে আসছে। কিন্তু তার সমাধান সূত্র এখনও বেরিয়ে আসেনি। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের নজর টানতে রক্ত দিয়ে এবার চিঠি লিখলেন বলেই দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক। শিলিগুড়ির সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিধায়ক নীরজ জিম্বা এও জানান, ‘সাংসদ রাজু বিস্ত চেষ্টা করেছেন সমাধান করার। দিল্লিতে অনেকের সঙ্গে দেখা করেছেন, চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কিছু হয়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতে হল। ‘তবে গোর্খাল্যান্ডের মতো পৃথক কোনও রাজ্যের সমর্থন করেননি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘বাংলার বিভাজন হোক সেটা আমি চাই না। কেন না আমরাও চাই সকলে একসঙ্গে থাকতে। কিন্তু স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান না হওয়ার জন্য পাহাড়ের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের দাবি, তাঁরা এই সমাধান সূত্র বের করুক। আমাদের জানাক, তারপর আমরাও জানাব সেই সমাধান আমাদের মানানসই হচ্ছে কি না।’ কাশ্মীরের সমস্যা, নাগাদের সমস্যার সমাধান হয়েছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দার্জিলিংয়ে বিজেপি জিতে আসলেও গোর্খাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন বিজেপি বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, বিগত দিনে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে খালি হাতে ফেরায়নি পাহাড়। পরপর তিনবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে উড়েছে বিজেপির বিজয় পতাকা। অভিযোগ, প্রতিবারই ভোটের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। আর তার জেরেই জিটিএ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাহাড়ে বিজেপিকে ধরাশায়ী হতে হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ। এবার সামনে লোকসভা ভোট। তার ঠিক আগেই রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে পাহাড় সমস্যার সমাধান চাইতে দেখা গেল দার্জিলিংয়ের বিধায়ককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − two =