নির্বাচনী বিধি লংঘন মামলায় অভিযুক্ত অভিনেত্রী রাজনীতিবিদ জয়া প্রদা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। সোমবার উত্তর প্রদেশের রামপুর কোর্টে পৌঁছন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মোট ন’বার ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। এমনকী, অভিনেত্রী সাংসদকে পলাতকও ঘোষণা করে আদালত। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের রামপুরে প্রতারণার মামলা দায়ের হয় জয় প্রদার বিরুদ্ধে। কেমারি ও সোয়ার থানায় দু’টি অভিযোগ হয় অভিনেত্রীর নামে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশও দেয় রামপুর এমপি-এমএলএ কোর্ট। এর আগে একটি সিনেমা হলের কর্মীরাও অভিনেত্রী রাজনীতিবিদ জয়াপ্রদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই ঘটনায় তাঁকে জেল ও জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একাধিকবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ এই এমপি-এমএলএ কোর্ট। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশে সাড়া দিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
এরপরই পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, জয়া প্রদা গ্রেফতারি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সবক’টি মোবাইল নম্বর সুইচ অফ রয়েছে। এরপরই গত মঙ্গলবার রামপুর এমপি-এমএলএ কোর্টের বিচারক শোভিত বনসল জয়া প্রদাকে পলাতক বলে ঘোষণা করেন। রামপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, সার্কেল অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করতে। ৬ মার্চের মধ্যে কোর্টে পেশ করাতে বলা হয় প্রাক্তন সাংসদকে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই জয়া প্রদা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জয়াপ্রদা লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের কাছে হেরে যান তিনি। এর আগে ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে ওই রামপুর কেন্দ্র থেকেই সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। পরে সমাজবাদী পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে থিয়েটার কর্মীদের ইএসআই না মেটানোর অভিযোগে জয়া প্রদাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল চেন্নাইয়ের একটি আদালত। ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রী সাংসদকে। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল তাঁকে। চেন্নাইয়ে একটি থিয়েটারের মালিক ছিলেন জয়া প্রদা। যদিও পরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, থিয়েটারের কর্মীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিলেও ইএসআই-এর টাকা মেটাননি এই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। ওই থিয়েটারের কর্মীরা জয়া প্রদা এবং তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের একটি আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড এবং জরিমানার সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত।