অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক

রাজনীতিতে পা দিয়েই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নাম না করে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন৷ দাবি করেছেন, ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়ালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেবেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, নাম না করে অভিষেককে তালপাতার সেপাই বলেও কটাক্ষ করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷

ভোটের ময়দানে তাঁকে হারানোর হুঁশিয়ারি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও  এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ মঙ্গলবার ইকো পার্কে গিয়েছিলেন অভিষেক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিড বিটুইন দ্য লাইন। উনি তাহলে এটা বললেন, ‘যখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসেছি, তখন বিজেপি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল।অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।বাকিটা আমি জনগণের উপর ছেড়ে দিলাম।’ অর্থাৎ, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশগুলির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় অভিষেককে৷ বলেন, ‘উনি হয়তো নিজের অজান্তেই মুখ ফস্কে একটা সত্যি কথা বলে ফেলেছেন৷ কিন্তু উনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে উনি বিজেপির কাছে গিয়েছিলেন, বিজেপিও ওনার কাছে এসেছিল৷ অর্থাৎ বিচারপতি থাকাকালীন যখন উনি বিভিন্ন মামলার শুনানি করেছেন, তখন বিজেপি এবং ওনার মধ্যে যে যোগাযোগ ছিল সেই সত্যিটা উনি স্বীকার করে নিয়েছেন৷ সবমিলিয়ে বিজেপির সঙ্গে অভিজিতের যোগসাজশের তত্ত্বই আরেকবার সামনে আনার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, বিচারপতি পদে বসে অভিজিৎ যা যা রায় দিয়েছেন তার নেপথ্য বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এদিন আরও একবার সুকৌশলে সে কথাই মনে করিয়ে দেন অভিষেক।  এরই পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এদিন এও বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও মানুষই যে কোনও জায়গা থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন৷ সেই অধিকার সবার আছে৷ কিন্তু আজকে দু-তিনটে বিষয়  আমার আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে৷ বিজেপি নেতারা কেউ আমার নাম নেন না৷ ভাব বাচ্যে কথা বলেন৷ প্রাক্তন বিচারপতিও আজকে তাই করেছেন৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 15 =