রেশন দুর্নীর্তি মামলায় শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির। ৮০ পাতার এই চার্জশিটে শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে ভারত থেকে বাংলাদেশ ও সেখান থেকে দুবাইয়ে ৭৫০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরই পাশাপাশি এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ২২ জন সাক্ষীর। যার থেকে কমিশন পেতেন শংকর আঢ্য।
এদিকে ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার কলকাতার নগরদায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর নাম। তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ তেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দুবাইয়ে টাকা পাচার করেছেন শংকর। মোট প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করে ইডির। যার থেকে ০.৫ শতাংশ কমিশন পেতেন শংকর আঢ্য।
প্রসঙ্গত, শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পর তদন্তে নেমে ৯৫ টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল ইডি। তার মধ্যে নাকি ৬ টি শংকর আঢ্যর পরিবারের সদস্যের নামে। বাকি গুলো বেনামে। ওগুলোর মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সাদা করার চেষ্টা করানো হতো। পেট্রাপোল সীমান্তে রয়েছে শংকর আঢ্যর মানি এক্সচেঞ্জের অফিস। যদিও বর্তমানে তা বন্ধ।