১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা। আর এই সভার জন্যই গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার তা ঘুরে দেখার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে তার আগে দুই কাউন্সিলরের অনুগামীদের ঝামেলা ঘিরে গীতাঞ্জলিতে বাধে ঝামেলা। এই ঝামেলা ধীরে ধীরে আকার নেয় দলেরই দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি, চুলের মুঠি ধরে মার, রাস্তায় ঠেলে ফেলার মতো আরও অনেক কিছুই। এরপর পথ অবরোধে পর্যন্ত বসে পড়েন শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা।জনগর্জন সভার আগে এদিন গীতাঞ্জলিতে তৃণমূলের অন্দরের এই হাল চিন্তায় ফেলেছে সাধারণ মানুষ থেকে দলের ক্রমীদের এক বিরাট অংশকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হয় বুধবার রাতে। দুই কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ও সুশান্ত ঘোষের মধ্যে ঝামেলার ফসলই অনুগামীদের হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে লিপিকা মান্না জানান, ‘আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আমাকেই ঢুকতে দিচ্ছে না। আমার ছেলে মেয়েদের মারছে। আমার শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে।’ এরপরই লিপিকা মান্না এসে থানার সামনে বসে পড়েন। তিনি বলেন, ‘অনেক অভিযোগ করেছি। পুলিশ কিছুই ব্যবস্থা নেয় না।’ অন্যদিকে সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘আমি ৮ বছর ধরে এখানে এটা সামলাই। দলের কারও মদতে ইচ্ছে করে গোলমাল হচ্ছে। জানি না কেন করছে।’ এদিকে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে লিপিকা মান্নার নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা এসে হাজির হন কসবা থানার সামনে।