রবিবার তৃণমূলের জনগর্জন সভার দিনেই জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বড় সভা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে ১০ দিনে ৪ বার এলেন বাংলা। এর আগে সভা করেছেন আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতে। এদিকে আবার রবিবারই সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের উপর নতুন করে চাপ বাড়াতে বড় সভা করতে চলেছে পদ্ম শিবির। ‘সন্দেশখালি চলো’র ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে। সন্দেশখালি ন্যাজাট থানার দক্ষিণ আখড়াতলায় দুপুর ১২ টায় সভা। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে থাকছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলায় ঝড় উঠবে বলে হুঙ্কার দিতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বাংলায় এসে একাধিকবার এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি সন্দেশখালিকে প্রধান ইস্যু করেই ভোট ময়দানে ঝাঁপাতে চায়, তার সুর বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এহেন আবহে সন্দেশখালিকে সামনে রেখেই লাগাতার কর্মসূচি রাখতে চলেছে বিজেপি। সভা, নেতৃত্বের সন্দেশখালি পৌঁছে যাওয়া কিংবা সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় নানা সাহায্য পৌঁছে দিয়েই আম নাগরিককে বার্তা দিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, গত ১২ বছরে মহিলা ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই ঝুঁকেছে বারবার। সন্দেশখালির মহিলাদের যে অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিলা ভোট ব্যাঙ্কে আঘাত লাগতে পারে। সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে বলেই মত বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের উন্নয়ন, রাম মন্দিরকে পিছনে ফেলে সন্দেশখালিকেই ফোকাস করছে পদ্ম শিবির।