প্রায় ২২ লাখ পরীক্ষার্থীর পুনর্মূল্যায়ন করা সম্ভব। আদালত নির্দেশ দিয়ে পুনর্মূল্যায়নে কোনও আপত্তি নেই শিক্ষা দফতরের। তাহলেও প্রায় কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট তাদের কাছে নেই বলেই জানাচ্ছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতর সূত্রে এও বলা হচ্ছে, এই প্রায় ২২ লাখ পরীক্ষার্থীর পুনর্মূল্যায়ন সম্ভব হলেও, এত পরীক্ষার্থীর পুনর্মূল্য়ায়নের প্রক্রিয়া যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। এদিকে ২০১৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল, সেই গোটা প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে হাইকোর্ট, এমনটাই জানানো হয় বৃহস্পতিবার। প্রয়োজনে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিতে পারে আদালত। এরপর কমিশনের তরফেও অবশ্য আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, আদালত নির্দেশ দিলে পুনর্মূল্যায়নে কোনও আপত্তি নেই তাদের।
তবে এক্ষেত্রে সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, শিক্ষা দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, তাদের নিজেদের কাছে কোনও ওএমআর শিট নেই। সিবিআই-এর দেওয়া ওএমআর শিটই এক্ষেত্রে তাদের একমাত্র ভরসা। কমিশনও আদালতে একই কথা জানিয়েছিল। বলা হয়েছিল, সিবিআইয়ের দেওয়া ওএমআর শিটগুলিই কেবল তাদের কাছে রয়েছে। নিজেদের কোনও ওএমআর শিট নেই।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের থেকে আদালত জানতে চেয়েছিল, কমিশনকে যদি আবার গোটা প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য বলা হয়, সেক্ষেত্রে তা সম্ভব হবে কি না। জবাবে কমিশন জানিয়েছিল, তাদের কাছে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ইন্টারভিউয়ের নম্বর রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে।