কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পাল্টা চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রিমাইন্ডার চিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তরফ থেকে। এবার পাল্টা চিঠি এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে। সূত্রে খবর, মঞ্জুর করা ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় ও কী ভাবে ব্যবহার হয়েছে, তা জানতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এদিকে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হচ্ছে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২২ কোম্পানির পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেই বাহিনী রাজ্যে পা রাখতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় শুরুও হয়েছে রুটমার্চ। তবে এখনও বাকি রয়েছে ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী। সেক্ষেত্রে বকেয়া বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠিও দিয়েছে কমিশন। এদিকে সোমবার পালটা চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।

সূত্রের খবর, গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিএসএফ-এর আইজি ও সিআইএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ডান্টের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তিনদিন বৈঠকের পরেও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় ও কী ভাবে মোতায়েন করা হবে সেই বিষয়ে কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তাই রবিবার পর্যন্ত বাংলার জন্য মঞ্জুর করা বাহিনী রয়ে গিয়েছে ভিনরাজ্যেই।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একের পর এক ধাক্কা খায় এই রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু বিরোধী শিবিরের পর আদালতের সেই নির্দেশ মান্য না করার অভিযোগ ওঠে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের হয় উচ্চ আদালতে। এরপর সেই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় হাইকোর্ট।

এমনকী এজলাসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ও অপারগতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত সাফ নির্দেশ দেয় যে, প্রতি জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও জেলায় মোতায়েন করা বাহিনীর সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় কম না হয়। এমনকী যদি এই নির্দেশ কার্যকর না হয়, তার জন্য কমিশনকে ভুগতে হবে বলেও স্পষ্ট বার্তা দেয় উচ্চ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =