লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র-তৃণমূলের দ্বৈরথ চলছেই। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি চিঠিও তুলে ধরে রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে কিছু তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেন। এবার শুভেন্দুর দেওয়া সেই তথ্য সম্পূর্ণ ‘অসত্য’ বলে দাবি করা হল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে। এরই পাশাপাশি রাজ্য়ের শাসকদলের তরফ থেকে এও দাবি করা হয়, রাজ্যের মানুষের সামনে ‘মিথ্যা প্রচার’ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে একাধিক লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের উদ্দেশে জনসভা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকে সভাতেই তাঁর কেন্দ্রকে আক্রমণের বিষয়বস্তু বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করা। সেই বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি চিঠির প্রতিলিপি তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, গত ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের অধীনে প্রথম কিস্তিতে ৬৮৭ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র।
শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবির পরেই আক্রমণে নামে তৃণমূল। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, ২০২১ সালের আগে প্রথম দফায় যে সব বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়নি, তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই টাকা। অর্থাৎ, নতুন কোনও আবেদনকারী সেই টাকা পাননি।
তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা দুটি ভাগে কার্যকর করা হয়। একটি ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত, যেখানে সেই সময়ে উপলব্ধ অপেক্ষমান তালিকা থেকে সুবিধাভোগী তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। অপরটি ২০২২-২৩ থেকে। যেখানে বাড়িগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে পরিচালিত একটি নতুন সমীক্ষার ভিত্তিতে। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য অনুযায়ী যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটি প্রথম ধাপের নির্মাণ না হওয়ায় বাড়িগুলির জন্য।
এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফের তৃণমূলের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে শ্বেতপত্র দাবি করা হয়।
এই ইস্যুকে সামনে রেখে এর আগেও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু আগে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বকে। এই চ্যালেঞ্জ তিনি ছুড়ে দিয়েছিলেন ব্রিগেডের সভা থেকেও। গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে নিজের সভার সময় বলে দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে খোলা মঞ্চে আহ্বান জানান অভিষেক। যদিও সময় ও স্থান জানার পরেও এই সভায় উপস্থিত হয়নি কোনও বিজেপি নেতৃত্ব।