২ তলা ভিতের ওপরেই উঠছিল পাঁচতলা বাড়ি, এমনটাই উঠে এল তদন্তে

ঝুপড়ির একেবারে গা ঘেঁষে মাথা তুলছিল পাঁচতলা বাড়ি। মাঝরাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে সেই বাড়ি। রবিবারই ওই বাড়ির ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। তারপর মধ্যরাতে সেই বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে গার্ডেনরিচে। ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত, আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। খবর পেয়ে সোমবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এরই মধ্যে সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, দোতলা বাড়ির ভিত ছিল, তার ওপরেই তৈরি হচ্ছিল পাঁচতলা বাড়ি। পুরসভা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যেখানে বিপর্যয় ঘটেছে, গত ৭-৮ বছর ধরে ওই জায়গায় ছিল একটি দোতলা বাড়ি। পরে বাড়ির মালিক ও অভিযুক্ত প্রোমোটার পাঁচতলা বাড়ির জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। প্রোমোটারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরসভা থেকে অনুমোদন না মেলায় ১৫ নম্বর বোরোতে অনুমোদন চাইতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেও অনুমতি মেলেনি। তারপরও বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় অন্তত ৬০-৭০টি বাড়ি বেআইনিভাবে করা হয়েছে। ওই এলাকার বিধায়ক খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই এলাকাতেও এমন অভিযোগ সামনে আসায় প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা ৪ তলা পর্যন্ত তৈরি হওয়ার পরই কাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে সে কথা কানে নেয়নি কেউ! অভিযোগ, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলেও পুলিশের সহযোগিতা মেলেনি। ফলে পুরসভার কর্মীদের চোখ বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে! উল্লেখ্য, যে বাড়িটির অংশ ভেঙে পড়েছে,সেটি যে বেআইনিভাবেই তৈরি হচ্ছিল, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে এ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে, ‘এই বাড়ির প্ল্যান যাঁরা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 1 =